আসসালামু আলাইকুম!


***আমাদের সাইটে স্বাগতম!***


নির্বাচিত সাহিত্যিক এবং শিক্ষামূলক কনটেন্ট আপনারা এই সাইট থেকে পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন।

Wednesday, May 31, 2023

// // Leave a Comment

রূহানী সাধকরাই দুনিয়ার নেপথ্য শাসক



***রূহানী সাধকরাই দুনিয়ার নেপথ্য শাসক***
          - লিখেছেন খালেদ সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী।
শরীয়ত-তরিকতের মাশায়েখ উলামাকে নানা শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। বর্তমান যুগে প্রচলিত আধুনিক ও প্রাচীন পদ্ধতির আরবি মাদ্রাসা শিক্ষিতদের মধ্যে সকল শ্রেণীর আলেম-ফাজেল অন্তর্ভুক্ত, যাদের মধ্যে রয়েছেন কোরআনের তফসীরবিদ, হাদীস শাস্ত্রবিদ, ফিক্হবিদ এবং তাসাওফ শাস্ত্রবিদ প্রভৃতি। এদের মধ্যে তাসাওফবিদ বা, সুফী সাধক, আওলিয়া-মাশায়েখের উচ্চ মর্যাদার বিশেষ পদবীধারীদের প্রসঙ্গ এ আলোচনার বিষয়বস্তু। আওলিয়া-মাশায়েখ ও সুফিয়ায়ে কেরামের পরিভাষায় বিশেষ পদবীধারী আধ্যাত্মিক সাধকদের পরিচয় তাসাওফ শাস্ত্রে প্রচলিত হলেও সচরাচর তাদের দৃশ্য জগতে দেখা যায় না, তবে তাদের কারো কারো আধ্যাত্মিক শক্তি, অলৌকিক ক্ষমতার কথা জানা যায়। যেমন বলা হয়, গাওস কুতুব, আব্দাল প্রভৃতি।

‘তাসাউফ’ বা, সুফিশাস্ত্রে অসংখ্য পরিভাষা প্রচলিত। সকলের নিকট তা সহজ বোধগম্য নয়। বিভিন্ন বিষয়েরও নানা শ্রেণী রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আওলিয়ায়ে কেরামের শ্রেণী বিভাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে আওলিয়া ভক্ত-অনুসারী যারা, তারা ছাড়াও বিশেষভাবে আলেম সমাজের নিকট আওলিয়ার শ্রেণী বিভাগ অবগত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সুফিয়ায়ে কেরামের পরিভাষায় এরূপ আওলিয়ায়কে বারো শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে, যা এইঃ ‘আকতাব, গাওস, ইমামাইন, আওতাদ, আবদাল, আখইয়ার, আবরার, নোকাবা, নোজাবা, আমদ, মকতুবান, মোফরাদ।’ এসব মহান ব্যক্তিত্বের পরিচয়:
আকতাব: কুতুবের বহুবচন। কুতুবে আলম বা বিশ্ব কুতুব একজন হয়ে থাকেন।
এর আরো কয়েকটি নাম যথাঃ কুতুবে আকবর, কুতুবুল এরশাদ, কুতুবুল আকতাব ও কুতুবুল মাদার। গায়েবী জগতে তার নাম আবদুল্লাহ। তার দুই জন উজির হয়ে থাকেন, তাদের ডানের উজিরের নাম আবদুল মালেক এবং বামের উজিরের নাম আবদুল রব। এ দুই জন ইমামাইন নামে পরিচিত। বর্ণিত গণ ব্যতীত আরো বারো জন কুতুব হয়ে থাকেন।

তাদের মধ্যে সাতজন দুনিয়ার সাতটি অঞ্চলে বাস করেন এবং তাদেরকে বলা হয় ‘কুতুবে একলেমী’ বা আঞ্চলিক কুতুব। বাকি পাঁচজন অবস্থান করেন ইয়েমেনে। তারা ‘কুতুবে বেলায়েত’ নামে খ্যাত। এটি কুতুবদের সংখ্যা, তবে অনির্দিষ্ট কুতুব একজন করে প্রত্যেক শহরে এবং প্রত্যেক গ্রামে হয়ে থাকেন।

গাওসঃ একজনই গাওস হয়ে থাকেন। কেউ কেউ কুতুবুল আকতাবকেই গাওস বলেছেন। কেউ তাকে ভিন্ন বলেছেন এবং তিনি মক্কায় থাকেন। এতে কারো কারো মতভেদ রয়েছে।

আওতাদঃ দুনিয়ার চার কোণে অবস্থানকারী চারজনের নাম আওতাদ। এদেরকে বলা হয় ‘রোকন’ বা স্তম্ভ।
আবদাল : এদের সংখ্যা চল্লিশজন। বাইশ অথবা বারোজন সিরিয়ায় অবস্থান করেন এবং আঠারো বা আঠাইশজন ইরাকে থাকেন।

আখইয়ারঃ এদের সংখ্যা পাঁচশ’ বা সাতশ। তারা এক স্থানে অবস্থান করেন না, নানা স্থানে ঘুরে বেড়ান পর্যটকের ন্যায়। তাদের নাম হয় হোসাইন।
আবরারঃ অধিকাংশের মতে আবদালকে আবরার বলা হয়।

নোকাবাঃ এরা সংখ্যায় তিনশ’ এবং সবাই আরব দেশে থাকেন। এদের সকলের নাম আলী।
নোজাবাঃ এদের সংখ্যা সত্তরজন এবং সবাই মিসরে থাকেন এবং সকলের নাম হাসান।
আমদঃ চারজন আমদ হয়ে থাকেন দুনিয়ার চারদিকে অবস্থান করেন এবং সকলের নাম মোহাম্মদ।
ফর্দঃ গাওসের স্তর উন্নীত হয়ে ফর্দে পরিণত হয় এবং আরো উন্নীত হয়ে কুতুবে ওয়াহদাত হয়।

মকতুমঃ মকতুম একই অবস্থায় সব স্থানেই থাকেন। (হজরত থানভী (রহ:) কৃত তালীমুদ্দীন)
এ রূহানী মণীষীগণ সাধারণ লোকের অগোচরে থাকলেও প্রকৃত সাধকগণ তাদেরকে চেনেন। তাদের অবর্তমানে অন্যরা যথার্থভাবে তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়ে থাকেন এবং বলা হয়ে থাকে, এ রূহানী সাধকরাই প্রকৃতপক্ষে দুনিয়ার নেপথ্য চালিকা শক্তি হিসেবে বিরাজ করে থাকেন।
***
কার্টেসীঃ দৈনিক ইনকিলাব। (১২ মার্চ, ২০২০)

Image by Gerd Altmann from Pixabay
Read More

Thursday, October 27, 2022

// // Leave a Comment

প্রত্যাবর্তন


হযরত আবদুর রহমান হানাফী (রহঃ) যখন আরব সফরে ছিলেন তখন ফরিদপুরের এক লোক জাহাজ যোগে হজ্জ্ব সম্পাদনের জন্য মক্কা শরীফ যান।

হজ্জ্বের পর উনার বাড়ি ফেরার তারিখ তিনি ভুলে গিয়ে নির্দিষ্ট তারিখে স্টীমার ঘাটে আসতে পারেননি। ফলে জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। পরে হঠাৎ মনে পড়ায় লোকটি জিদ্দা গিয়ে এরপর আবার মক্কা শরীফ ফিরে পাগলপারা হয়ে ঘুরতে থাকেন। তখন হারাম শরীফে একজন বাঙ্গালীর সাথে উনার সব ঘটনা খুলে বলেন। ঐ ব্যক্তি তাকে বলেন যে, মেছফালাহ-তে একজন বাঙ্গালী কামেল অলী আছেন, উনার নিকটে গিয়ে বলে দেখো- কোনো ব্যবস্থা হয় কিনা।

ঠিকানামত ফরিদপুরের লোকটি গিয়ে দেখেন সোনাকান্দার পীর আবদুর রহমান হানাফী (রহঃ) মোরাকাবায় বসে আছেন। দীর্ঘ সময় বসার পর তিনি চলে আসেন। এভাবে তিনদিন পীর সাহেবকে এ অবস্থায় পান এবং তৃতীয় দিন দীর্ঘসময় অপেক্ষা করার পর পীর সাহেব হুজরা থেকে বের হলে লোকটি প্রাণ খুলে সব কথা বলেন। হুজুর তাকে বললেন, তুমি এ বছর আমার সঙ্গে থাকো; থাকা ও খাবার পয়সা কিছুই লাগবে না। আগামী বছর হজ্জ্ব করে দেশে যাবার সব ব্যবস্থা ইনশাআল্লাহ্‌ আমি করে দেব। এতে লোকটি কিছুতেই রাজি হলো না বরং বাড়ি যাবার জন্যে কান্নাকাটি শুরু করে দিল; কেননা বাড়িতে ছোট-ছেলে মেয়ে, স্ত্রী ও মা রয়েছেন। তাঁদের দেখাশোনা ও লালন-পালনের আর কেউ নেই।

এরপর পীর আবদুর রহমান হানাফী (রহঃ) লোকটি কে বললেন, আমার রুমে মোমবাতি আছে, অন্ধকার ঘরে বসে আলাপ করতে কেমন লাগে; নাও, এ মোমবাতিটি জ্বালিয়ে নিয়ে এসো। আমার কাছে দিয়াশলাই নেই, লোকটি বললো, হুজুর আগুন কোথায় পাবো? পীর সাহেব হুজুর বললেন, দেখোতো, ঐ দূরে কে যেন একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। লোকটি দেখে বললো, হ্যাঁ, তাইতো। তখন লোকটি হুজুরের হাত থেকে খালি মোমবাতিটি নিয়ে জ্বালানোর জন্যে দ্রুত ঐ মোমবাতিওয়ালার পিছনে দৌঁড়াতে লাগলো। কিন্তু যত দ্রুত দৌঁড়ায় কোন অবস্থায়ই বাতিটির কাছে পৌঁছাতে পারেনা।

এভাবে বাতিটির পিছনে পিছনে দ্রুত দৌঁড়াতে থাকে আর বাতিটিও পিছাতে থাকে; হঠাৎ ঐ ব্যক্তি দেখে সামনের বাতিটি নিভে গেছে। সেও বেঁহুশ হয়ে পড়ে যায়। এমন সময় ঐ হাজী সাহেবের মা চিৎকার করে বলতে থাকেন যে, তোমরা কে কোথায় আছো- জলদি এসো, আমার ছেলেতো মক্কা শরীফ হতে বাড়িতে চলে এসেছে। সবাই এসে আশ্চর্যান্বিত হয়ে ব্যাপার জিজ্ঞেস করলে লোকটি ঘটনাটি সবাইকে খুলে বলেন।

- সোনাকান্দার মাটি। (পৃষ্ঠাঃ ৮৪-৮৫) লেখকঃ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা উনার ওলীদের মতো আমাদেরকেও প্রিয়পাত্র করে নিন। আমীন।

***
Image Courtesy: https://pixabay.com/photos/way-sign-travel-landscape-nature-1767419/  


Read More

Thursday, February 20, 2020

// // 2 comments

অণুপ্রেরণায় পবিত্র কোরআন শরীফের ১০ আয়াত

 জীবনে অনেক সময় আমরা নানা কারণে হতাশ হই।তখন উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। নিজেকে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ মনে হয় তখন।
ওই মুহূর্তে আমরা এমন আশ্রয় খুঁজি, যার কাছে আমরা পেতে পারি সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
Read More

Sunday, February 16, 2020

// // Leave a Comment

ইসলামে যাদুর বিধান

 যাদু চর্চা করা কুফুরি। যাদু শিক্ষা করা এবং শিক্ষা দেওয়া উভয়ই হারাম।
যাদুকরদের শাস্তির দায়িত্ব রাষ্ট্রপ্রধানের; জনগণের নয়।
আর, যদি যাদুকর যাদু বিদ্যা ত্যাগ করে তওবা করার ইচ্ছা করে,
Read More

Sunday, January 26, 2020

// // Leave a Comment

পরীক্ষা

 একদা শেখ আবু সাঈদ মাইখারানী (রহঃ) হযরত বায়েযীদ (রহঃ) কে পরীক্ষা করার জন্য তাহার নিকটে গেলেন। হযরত বায়েযীদ (রহঃ) তাহা বুঝিতে পারিয়া তাহাকে বলিলেন,
Read More
// // 1 comment

অভিমানী তোতা

 এক আতর বিক্রেতার একটি তোতা পাখি ছিল। পাখিটি সুমধুর সুরে আওয়াজ দিতে পারিত। আতর বিক্রেতা তোতাকে দেখাশোনার জন্য রাখিত। ঐ তোতা মানুষের ন্যায় খরিদ্দারদের সাথে কথা-বার্তা বলিতে জানিত।
Read More
// // Leave a Comment

হযরত ওয়াইস্ ক্করণী (রহঃ) এর নসীহত

 হযরত ওয়াইস্ ক্করণী (রহঃ) বলিয়াছেন, 
* যে ব্যক্তি খোদাকে চিনিয়াছে, তাঁহার নিকট কোন কিছুই গোপন থাকে না। 
* নির্জনতা অবলম্বনেই শান্তি।
* অন্য চিন্তা মনে স্থান না পাইলেই তাওহীদের জ্ঞান লাভ হয়।
* একাকী থাকা উচিত নয়।
Read More
// // Leave a Comment

বর্তমান ঘটনাপ্রবাহঃ হযরত শাহ্‌ নিয়ামতউল্লাহ্‌ কাশ্মীরি (রহঃ) এর ভবিষৎবাণী অনুযায়ী

 * মুকুটবিহীন অযোগ্য বাদশাহ্‌গণ রাজত্ব করিবে। তাহারা অনেক আইন-কানুন জারি করিবে। কিন্তু সমস্তই অযোগ্য হইবে।
* ঘুষ এবং অলসতার কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারী কাজকর্ম সময়মত হইবে না।
Read More