কানপুরের ঘটনা। দুই ব্যক্তি শুনতে পেয়েছিল যে শবে বরাতে যে-দোয়া করা হয়, তা’ কবুল হয়। সুতরাং, দুইজনে একটি মাটির ঢেলা নিয়ে বসে গেল। ঢেলাটি একটি রুমাল দিয়ে ঢেকে নিল। তারপর দোয়া করতে লাগলো,
“হে আল্লাহ! আমরা গরীব মানুষ, এই ঢেলাটি যেন সোনা হয়ে যায়। শবে বরাতে তুমি দোয়া কবুল করে থাক। আজ শবে বরাত। সুতরাং, আমাদেরকে বঞ্চিত করিওনা।”
সারা রাত ধরে দোয়া করলো। সকাল যতই ঘনিয়ে আসছিল, তাদের দোয়ার জোর ততই বেড়ে যাচ্ছিল। রুমালের নীচের ঢেলাটি সোনা হয়েছে কিনা- এটা দেখার আগ্রহও বেড়ে যাচ্ছিল। অতঃপর, অতি কষ্টে যখন সকাল হলো, তখন রুমাল খুললো। দেখে, সেই মাটির ঢেলাটিই পড়ে আছে। সকল আশা-আকাঙ্খা ধূলিস্মাৎ হয়ে গেল। মনটা এতটুকু হয়ে গেল; এই ভেবে যে- শবে বরাত সারাটাই বৃথা হয়েছে। মনের মধ্যে নানারকম শয়তানী খেয়াল ভীড় করতে লাগলো— “শবে বরাতে দোয়া কবুল হয়, আজ শবে বরাত ছিল, কিন্তু কিছুই তো হলো না। তাহলে, যা-কিছু শুনেছিলাম সবই কি মিথ্যা?”
এক দর্জী সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। দুই জনকে চিন্তাক্লিষ্ট বসে থাকতে দেখে ফিরে এসে দাঁড়াল। লোকটি আলেমদের ছোহবত পেয়েছিল তাই তাদের ঈমান বরবাদ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে নিল। জিজ্ঞাসা করলো, “কী হয়েছে ভাই, আপনারা এখানে এত চিন্তিত মনে বসে আছেন কেন?”
তখন তারা বিস্তারিত ঘটনা খুলে বললো। এই শুনে লোকটি বললোঃ “ভাই, আপনারা আল্লাহ পাকের শুকুর করেন। এর পিছনে তাঁর অনেক হেকমত রয়েছে। তার মধ্যে একটি আমার বুঝে এসেছে। তা’হলো এই যে, আল্লাহ আপনাদেরকে মহব্বত করেন। তাই আপনাদের জীবন রক্ষা করেছেন। তিনি যদি এই মাটির ঢেলাকে সোনা বানিয়ে দিতেন, তবে তার ভাগাভাগি নিয়ে এখনই ঝগড়া সৃষ্টি হয়ে যেতো। এরপর শুরু হতো মারামারি, তারপর মাথা ফাটতো এবং অবশেষে একজন নিহত হতো, অপর জনের বিচারে ফাঁসি হতো। ফলে, দুই জনেরই মৃত্যু হতো এবং সোনার পিন্ড তার জায়গায় পড়ে থাকতো। সুতরাং, আল্লাহ পাক আপনাদেরকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছেন।”
এই কথা শুনে লোক দুইটি খুব খুশি হলো এবং আল্লাহর শুকুরগুযারী করলো।
সুতরাং, হক্কানী আলেমদের ছোহবত পেলে যেমন নিজের ঈমান রক্ষা হয়, তেমনি অন্যের ঈমান রক্ষা করতে সাহায্য করা যায়।
-তাসহীলুল মাওয়ায়েজ। (খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৫৭)
“হে আল্লাহ! আমরা গরীব মানুষ, এই ঢেলাটি যেন সোনা হয়ে যায়। শবে বরাতে তুমি দোয়া কবুল করে থাক। আজ শবে বরাত। সুতরাং, আমাদেরকে বঞ্চিত করিওনা।”
সারা রাত ধরে দোয়া করলো। সকাল যতই ঘনিয়ে আসছিল, তাদের দোয়ার জোর ততই বেড়ে যাচ্ছিল। রুমালের নীচের ঢেলাটি সোনা হয়েছে কিনা- এটা দেখার আগ্রহও বেড়ে যাচ্ছিল। অতঃপর, অতি কষ্টে যখন সকাল হলো, তখন রুমাল খুললো। দেখে, সেই মাটির ঢেলাটিই পড়ে আছে। সকল আশা-আকাঙ্খা ধূলিস্মাৎ হয়ে গেল। মনটা এতটুকু হয়ে গেল; এই ভেবে যে- শবে বরাত সারাটাই বৃথা হয়েছে। মনের মধ্যে নানারকম শয়তানী খেয়াল ভীড় করতে লাগলো— “শবে বরাতে দোয়া কবুল হয়, আজ শবে বরাত ছিল, কিন্তু কিছুই তো হলো না। তাহলে, যা-কিছু শুনেছিলাম সবই কি মিথ্যা?”
এক দর্জী সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। দুই জনকে চিন্তাক্লিষ্ট বসে থাকতে দেখে ফিরে এসে দাঁড়াল। লোকটি আলেমদের ছোহবত পেয়েছিল তাই তাদের ঈমান বরবাদ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে নিল। জিজ্ঞাসা করলো, “কী হয়েছে ভাই, আপনারা এখানে এত চিন্তিত মনে বসে আছেন কেন?”
তখন তারা বিস্তারিত ঘটনা খুলে বললো। এই শুনে লোকটি বললোঃ “ভাই, আপনারা আল্লাহ পাকের শুকুর করেন। এর পিছনে তাঁর অনেক হেকমত রয়েছে। তার মধ্যে একটি আমার বুঝে এসেছে। তা’হলো এই যে, আল্লাহ আপনাদেরকে মহব্বত করেন। তাই আপনাদের জীবন রক্ষা করেছেন। তিনি যদি এই মাটির ঢেলাকে সোনা বানিয়ে দিতেন, তবে তার ভাগাভাগি নিয়ে এখনই ঝগড়া সৃষ্টি হয়ে যেতো। এরপর শুরু হতো মারামারি, তারপর মাথা ফাটতো এবং অবশেষে একজন নিহত হতো, অপর জনের বিচারে ফাঁসি হতো। ফলে, দুই জনেরই মৃত্যু হতো এবং সোনার পিন্ড তার জায়গায় পড়ে থাকতো। সুতরাং, আল্লাহ পাক আপনাদেরকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছেন।”
এই কথা শুনে লোক দুইটি খুব খুশি হলো এবং আল্লাহর শুকুরগুযারী করলো।
সুতরাং, হক্কানী আলেমদের ছোহবত পেলে যেমন নিজের ঈমান রক্ষা হয়, তেমনি অন্যের ঈমান রক্ষা করতে সাহায্য করা যায়।
-তাসহীলুল মাওয়ায়েজ। (খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৫৭)
0 Comments:
Post a Comment