একদা শেখ আবু সাঈদ মাইখারানী (রহঃ) হযরত বায়েযীদ (রহঃ) কে পরীক্ষা করার জন্য তাহার নিকটে গেলেন। হযরত বায়েযীদ (রহঃ) তাহা বুঝিতে পারিয়া তাহাকে বলিলেন, “হে আবু সাঈদ, রাঈ' নামক মুরীদের নিকট গমন কর। আমি কারামত ও বেলায়েত তাহার হাতে সোপর্দ করিয়া দিয়াছি। আবু সাঈদ মাইখারানী আবু সাঈদ রাঈর বাসস্থানে যাইয়া দেখিলেন, তিনি মাঠে এক জায়গায় নামাজ পড়িতেছেন এবং তাঁহার বকরীগুলোকে নেকড়ে বাঘেরা পাহারা দিতেছে। আবু সাঈদ রাঈ (রহঃ) নামাজ হইতে অবসর গ্রহণ করিয়া মাইখারানী (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি কী চান?” তিনি উত্তর করিলেন, “গরম রুটি এবং তাজা আঙ্গুর। " হযরত আবু সাঈদ রাঈ (রহঃ) নিজের হাতের লাঠিটি দ্বিখন্ডিত করিয়া এক খন্ড মাইখারানীর সম্মুখে মাটিতে পুতিয়া দিলেন, অপর খন্ডটি নিজের সম্মুখে পুতিলেন। তৎক্ষণাৎ লাঠির উভয় অংশ সবুজ এবং সতেজ বৃক্ষের রূপ ধারণ করিয়া মাইখারানীর সম্মুখস্থ খন্ডে কাল এবং আবু সাঈদ রাঈ'র সম্মুখের খন্ডে সাদা আঙ্গুর ফল ধরিল। মাইখারানী (রহঃ) জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমার অংশে কাল এবং আপনার অংশে সাদা আঙ্গুর ধরার কারণ কী?” আবু সাঈদ রাঈ (রহঃ) বলিলেন, “যেহেতু আমি খাঁটি নিয়্যতে বিশ্বাসের সহিত চাহিয়াছি। আর, আপনি পরীক্ষার নিয়্যতে চাহিয়াছেন; সুতরাং ইহা অবধারিত সত্য যে, প্রত্যেক বস্তুর বর্ণ উহার অবস্থার অনুরূপ হইয়া থাকে। " অতঃপর তিনি আবু সাঈদ মাইখারানীকে এক খানা কম্বল দিয়া বলিলেন, “ইহা খুবই হেফাযতে রাখিবেন যেন হারাইয়া না যায়। আবু সাঈদ মাইখারানী হজ্জ্বে গমন করিলে আরাফাতের ময়দানে কম্বলখানি তাহার নিকট হইতে গায়েব হইয়া যায়। বস্তামে প্রত্যাগমন করিয়া ঠিক সেই কম্বলখানিই আবু সাঈদ রাঈ' (রহঃ) এর নিকট দেখিতে পান!
- তাযকেরাতুল আওলিয়া। (১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৮৯)
Image by bess.hamiti@gmail.com from Pixabay ***
- তাযকেরাতুল আওলিয়া। (১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৮৯)
Image by bess.hamiti@gmail.com from Pixabay ***



















