আল্লাহ পাকের ইচ্ছার সাথে নিজের ইচ্ছাকে মিলিয়ে দেওয়ার
মধ্যেই আনন্দ। এই আনন্দ আল্লাহওয়ালাগণ পরিপূর্ণভাবে লাভ করে থাকেন। এইরূপে এক বুযুর্গ
ছিলেন শাহ্ দৌলাহ্। তাঁর গ্রামের লোকেরা একদিন তাঁর খেদমতে হাজির হয়ে আরজ করলোঃ
“হুজুর! নদী
ভাঙতে ভাঙতে গ্রামের দিকে ছুটে আসছে।
গ্রাম বুঝি আর রক্ষা করা যায় না। আপনি আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করেন যেন তিনি নদীর প্রবাহ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেন। ”
গ্রাম বুঝি আর রক্ষা করা যায় না। আপনি আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করেন যেন তিনি নদীর প্রবাহ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেন। ”
বুযুর্গ বললেন, “কাল সকালে কোদাল আর ঝুড়ি নিয়ে সবাই এসো, এর ব্যবস্থা করবো। ”
সুতরাং, পরদিন সকালে সবাই এসে হাজির হলো। বুযুর্গ সবাইকে নদীর কাছে নিয়ে গেলেন। অতঃপর বললেন, “গ্রামের দিকে পানি যাওয়ার রাস্তা খুঁড়তে শুরু করে দাও। ”
লোকেরা বললো, “হুজুর! এভাবে তো নদী দুই দিনের রাস্তা এক দিনেই অতিক্রম করে
সম্পূর্ণ গ্রামকে গ্রাস করে ফেলবে!”
তিনি বললেন, “নদী গ্রামের দিকেই যেতে চাচ্ছে। আল্লাহ তা’আলারও তাই ইচ্ছা। দৌলাহরও ইচ্ছা তাই। আল্লাহ যেদিকে আমিও সেদিকে। তোমরা খুঁড়তে শুরু করো। ”
সে যুগের
লোকেরা আল্লাহ ওয়ালাদের খুব অনুসরণ করতো। সুতরাং, তারা বিনা দ্বিধায় তৎক্ষণাৎ গ্রামের দিকে নদীর রাস্তা খুঁড়তে
শুরু করলো। রাস্তা খুঁড়ে মাটি যেখানে ফেলা হলো আল্লাহর কুদরতে তা
এমনভাবে স্থাপিত হলো যে, অল্প সময়ের মধ্যে পানির গতি পাল্টে গেল।
নদীর প্রবাহ
অন্যদিকে ঘুরে গেল। গ্রাম রক্ষা পেল।
আল্লাহর
ইচ্ছার সাথে নিজের ইচ্ছাকে এরূপ শর্তহীনভাবে মিলিয়ে দিলে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর
সাহায্য নেমে আসে। কুদরতের এই অপূর্ব লীলা গ্রামবাসী স্বচক্ষে দেখতে পেলো।
-এরশাদাতে হাকীমুল উম্মত। (খন্ড-২, পৃষ্ঠা- ৫৭)
***
0 Comments:
Post a Comment