"হাল্লাজ" শব্দের অর্থ হইল ধুনকর। কথিত আছে, হযরত মানসূর (রহঃ) একবার এক ব্যক্তির কার্পাস তুলার স্তুপের নিকট দিয়া যাইতেছিলেন।
যাইবার সময় তুলার স্তুপের দিকে ইশারা করিলে নিমিষের মধ্যেই সমস্ত তুলার বীজ পৃথক হইয়া উত্তমরূপে ধুনিয়া গেল। উপস্থিত সকলে ইহা দেখিয়া তা'আজ্জব হইয়া রহিল। তখন হইতে লোকে তাহাকে 'হাল্লাজ' (তুলা ধুনকর) বলিয়া ডাকে।
যাইবার সময় তুলার স্তুপের দিকে ইশারা করিলে নিমিষের মধ্যেই সমস্ত তুলার বীজ পৃথক হইয়া উত্তমরূপে ধুনিয়া গেল। উপস্থিত সকলে ইহা দেখিয়া তা'আজ্জব হইয়া রহিল। তখন হইতে লোকে তাহাকে 'হাল্লাজ' (তুলা ধুনকর) বলিয়া ডাকে।
বর্ণিত আছে, হযরত রশীদ খেরাদ সমরকন্দী (রহঃ) মক্কা শরীফ যাইবার পথে এক স্থানে ওয়াজ করেন। তখন এই ঘটনাটি বলেন যে, "একবার হযরত মানসূর (রহঃ) চারিশত সূফীসহ এক জঙ্গলের পথে চলিয়াছেন। পথিমধ্যে চারিদিন যাবত কোন খাওয়া নাই। সূফীগণ অত্যন্ত ক্ষুধার্ত হইয়া মহর্ষির নিকট খাবার চাহিল; বলিল, "হুজুর আমাদিগকে ভাজা মাথা খাওয়ান। " মহর্ষি হুকুম করিলেন, "সারি বাধিয়া বসিয়া যাও। " সকলেই তাহার সামনে সারি বাধিয়া বসিল। মহর্ষি হাত পিছন হইতে আনিয়া আনিয়া প্রত্যেককে একটি ভাজা মাথা এবং দুইখানা গরম রুটি দিতে লাগিলেন। চারিশত মুরীদই তৃপ্তিভরে খাইয়া খুশি হইল। তৎপর আবার তাহারা বলিল, "খাজা সাহেব, আমরা খেজুর খাইতে চাই। " তখনই মহর্ষি সটান হইয়া দাঁড়াইলেন এবং বলিলেন, "আমাকে নাড়িতে থাকো;" মুরিদগণ তাঁহাকে নাড়িতে লাগিল। এমন সময়, খেজুর গাছ হইতে যেরূপ খেজুর পড়ে, সেইরূপে তাঁহার গা হইতে অঝোরে খেজুর পড়িল এবং সকলেই পেট ভরিয়া খাইল। "- তাযকেরাতুল আওলিয়া। (দ্বিতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা ২২৭ ও ২২৮)
***
0 Comments:
Post a Comment