Showing posts with label ইসলামিক কনটেন্ট. Show all posts
Showing posts with label ইসলামিক কনটেন্ট. Show all posts

Sunday, October 26, 2025

// // Leave a Comment

মা'রিফাত

 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।'


মা'রিফাত।


'সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার জন্যে এবং অসংখ্য সালাত-সালাম দোজাহানের সরদার, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নাবী ও রাসূল প্রিয় নাবীজী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার সম্মানিত পরিবার-পরিজন, অগ্রগণ্য সম্মানিত বংশধর এবং সম্মানিত সাহাবায়ে কেরামগণের উপর বর্ষিত হোক।

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা অজস্র রহমত আমাদেরকে সহ সকল মুসলমানদের দান করুন।'


'হক সুবহানুহু তা'আলার অস্তিত্ব, যাহা তাঁহার যাতের অনুরূপ বাসিতে হাকীকী (প্রকৃত অবিমিশ্র) এবং বিন্দুর মতো; তন্মধ্যে কোনরূপ ভাগ-বণ্টন হয় না। কিন্তু, অসংখ্য বিষয়ের সহিত সম্পর্ক রাখার কারণে উহা বিস্তৃত এবং প্রশস্ত বলিয়া মনে হয়।'

(মাআরিফে লাদুন্নিয়াঃ হযরত আহমাদ ফারুক সিরহিন্দ মুজাদ্দেদে আলফে সানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি, পৃষ্ঠা ১৮)


[আকৃতির বিষয়টি ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। যেমন, অনেক দূর থেকে বিশ্বজগতসমূহকে দেখলে বিন্দুর ন্যায় মনে হয় বা, তাত্ত্বিকভাবে অসীম বড় কোন কিছুকে সংকুচিত করে বিন্দু পর্যন্ত পৌঁছা যায়। - থিওরি অব জেনারেল রিলেটিভিটিঃ স্যার অ্যালবার্ট আইনস্টাইন।

যাইহোক, ঐ পবিত্র অসীম শক্তিশালী অদৃশ্য আলোর বিন্দু ছাড়া বাকী সবকিছুকেই- ঘূর্ণন, সংকোচন, প্রসারণ, রূপান্তরসহ বাইরের যাবতীয় বস্তু, শক্তি এবং প্রক্রিয়াকে কাল্পনিক বলা হয়েছে।

বিন্দু ছাড়া আরো বড় কোনো আকৃতি বা, সমস্ত জগৎসমূহ বা, অসীম স্থান বা, স্থান-কালের উর্ধ্বে হলেও তা দুই বা, ততোধিক বিন্দুর সমষ্টি; যা আসলে 'অপ্রকৃত বস্তুর' সমন্বয়।

আর, বিন্দু ছাড়া দুই বা, ততোধিক বিন্দুর সমষ্টি বা, এরূপ আকৃতির মধ্যে বিভাজন হয়, শরীক বা, অংশ সাব্যস্ত করা যায়; কিন্তু, বিন্দুর মধ্যে কোন শরীক বা, অংশ বা, ভাগ-বন্টণ হয় না; আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার অপরিবর্তনশীল স্থান-কালের উর্ধ্বের সেই বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দুর ন্যায় সত্তাও অনুরূপ; উনি ছাড়া বাকী সবকিছুই ধারণা বা, কল্পনা মাত্র; কল্যানার্থে ভুল ধারণা সহযোগে- প্রবেশ, বের হওয়া বা, মিশ্রিত হওয়া ছাড়াই; যেগুলো উনার সত্তার সম্মুখে প্রকৃতপক্ষে অপ্রকৃত বস্তু। উনার পবিত্র যাতের মাঝেই মিশ্রণ বা, পরিবর্তন ছাড়া কল্পনা সংঘটিত হয়। কারণ, সত্তার মাঝেই ক্রিয়া ঘটে-যদিও তিনি তা থেকে পবিত্র। স্থান-কাল অসীমভাবে বিস্তৃত হয় কী করে? উত্তরে বলা যায়ঃ স্থান-কাল কাল্পনিক বিধায়- স্রষ্টার পবিত্র যাতের মাঝেই আছে- প্রকৃত অবিমিশ্রভাবে। সত্তার মাঝেই কল্পনা ক্রিয়া ঘটে- এ বিষয়টার ধারণা এখানে উল্লিখিত হয়েছে, আমাদের সচেতনতা শরীরের কিছু কোষের মধ্যে চলমান রাসায়নিক মিথষ্ক্রিয়া মাত্র- বিজ্ঞানের একথা থেকে এবং স্যার ইলন মাস্কের নিউরালিঙ্ক কর্তৃক মানব মস্তিষ্কে ইন্দ্রিয়সমূহের/স্বপ্নের নিয়ন্ত্রণ কোষস্থানে সংঘটিত পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণা থেকে; ইউটিউবে এর উপর ভিডিও আছে; সেখান থেকে বিষয়টার ধারণা গৃহীত হয়েছে। পবিত্র কুরআনুল কারীমে আছে, 'যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য।' (সূরা বাকারা, আয়াত ১৬৫)

তাই, কল্পনার উৎসও তিনি।

কোন কিছু থেকে আসতে বা, কোন কিছু হতে আরও বিন্দুর প্রয়োজন হবে; যা আদৌ নেই। কারণ, উনি কোন কিছু থেকে আসেননি এবং উনার থেকেও কেউ আসেনি; উনার কোন শরীক নেই ও উনি ছাড়া আর কোন প্রকৃত অস্তিত্ব নেই।

লা-মাকানকে এভাবে ভাবা যেতে পারে, ঐ পয়েন্টই শুধু বিদ্যমান; যদি সঞ্চারণের বা, স্থিরতার প্রয়োজন হয়, তবে কাল্পনিক স্পেস-টাইম তৈরি করে এর মাঝে বিচরণ বা, স্থিরতা অর্জিত হয়; অর্থাৎ, কল্পনায় বা, স্বপ্নে সফরের মতো।

আর, এই ড্রিম এক্সিস্টেন্সেই।- অ্যাবসোলুটলি আনমিক্সড।

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা গতি বা, স্থিতি থেকে পবিত্র।]


'লা শারীকা লাহূ'

'উনার কোন শরীক নেই।'

(সূরা আন'আমঃ আয়াত ১৬৩)


'আল্লাহু হা-দ্বিরী-।'

অর্থঃ 'আল্লাহ্‌ আমার নিকট বিদ্যমান আছেন।'


'আল্লাহু মা'য়ী-।'

অর্থঃ 'আল্লাহ্‌ আমার সঙ্গে আছেন।'

(আনিছুত্তালেবীনঃ ৫ম খন্ড, ৩৪৯ পৃষ্ঠা)


'দয়াময় (আল্লাহ্) আরশের উপর উঠেছেন।'

(সূরা ত্ব-হা-ঃ আয়াত ৫)


'আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী।'

(সূরা ক্বফঃ আয়াত ১৬)


'তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাকো।'

(সূরা হাদীদঃ আয়াত ৪)


আর, 'আল্লাহ্‌ তা'আলা কোন স্থানে ও কালে আবদ্ধ নহেন, কোন দিকে নহেন, তাঁহার তূল্য কোন বস্তু নাই, তাঁহার পিতা, মাতা, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা নাই। তিনি এই সমস্ত কলঙ্কমূলক ছিফাত হইতে পবিত্র।'

(আনিছুত্তালেবীনঃ হযরত মাওলানা ওয়াল হাফিজ মোহাম্মদ আবদুর রহমান হানাফী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি, ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬৪)


'খোদা তা'আলার বিশেষ স্থান হইল লা-মাকান।'

(আনিছুত্তালেবীনঃ ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২৭৭)


'আহলে সুন্নাহ্‌ ওয়াল্‌ জামা'আতের আলেমগণ কী সুন্দরই না বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তা'আলার অজুদ, তাঁর 'যাত' সুব্‌হানুহু ওয়া তাআ'লার উপর অতিরিক্ত। অজুদকে প্রকৃত যাত বলা এবং অজুদের উপর অন্য কোন বিষয় স্থির না করা দৃষ্টির সংকীর্ণতা ব্যতীত আর কিছুই নয়। শায়েখ আলাউদ্দৌলা বলেছেন, হক জাল্লা শানুহুর দুনিয়া অস্তিত্বের জগতেরও উর্ধ্বে, এই ফকীরকে যখন অস্তিত্বের জগতের উপর নেওয়া হয়, তখন হালের আধিক্যের মধ্যে থাকাবস্থায়ও আমি নিজেকে অনুসরণ জ্ঞানের দ্বারা মুসলিম হিসাবে গণ্য করতে থাকি। মোদ্দা কথা, সম্ভাব্যের ধারণায় যা কিছু আসে, তা সম্ভাবনা ব্যতীত আর কিছুই নয়।

...

বুলন্দ হিম্মতের জন্য এরকমই প্রয়োজন যে, হক তাআ'লার যাতের অন্বেষণকারী শেষ পর্যন্ত কিছুই পাবে না এবং তার কোনো নাম নিশানাও প্রকাশ পাবে না। একটি জামা'আত এমন আছে, যারা এর ভিন্ন অর্থ গ্রহণ করে। তাঁরা হক তাআ'লার যাতকে, স্বীয় অস্তিত্বের অনুরূপ মনে করে এবং তার সাথে সখ্যতা ও একাত্মতা সৃষ্টি করে।'

(মাবদা ওয়া মা'আদঃ মুজাদ্দেদে আলফে সানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি; মিনহা এগারো, পৃষ্ঠা ২৭, ২৮)


'স্বীয় মতলব অন্বেষী একদল লোক আছে, যাহারা আল্লাহ্‌ তা'আলাকে অবিকল 'নিজ' বলিয়া মনে করে* এবং তাঁহার সহিত নৈকট্য ও একত্বের সম্বন্ধ স্থাপন করে।'

(মকতুবাত শরীফঃ ১ম খন্ড, ১ম ভাগ, ১২৬ মকতুব, পৃষ্ঠা ২০৭)

(*অর্থাৎ, সৃষ্টিজগতসমূহের সবকিছু উনার কল্পনাস্বরূপ আরশে আযীমের উপরের সেই বিন্দুতে অবিমিশ্রভাবে একত্রিত।)


হযরত রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, 'আল্লাহ্‌ তা'আলা হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)-কে তাঁর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন।..'

(বুখারী ও মুসলিম শরীফ)


হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেন, 'আমি সর্বপ্রথম আমার সত্তার নূর দ্বারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের রূহ্‌ মুবারাক সৃজন করেছি।'

(সির্‌রুল আস্‌রারঃ বড়পীর হযরত আবদুল কাদির জিলানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি, পৃষ্ঠা ৪)


'আল্লাহর জন্যেই সর্বোৎকৃষ্ট তুলনা।'

(সূরা নাহলঃ আয়াত ৬০)


আর, উনার তুলনা উনি নিজেই। অন্য কোন কিছুই উনার সাথে তুলনীয় নয়।


'কোন কিছুই উনার সদৃশ নয়।'

 (সূরা শূরাঃ আয়াত ১১)


'আল্লাহ্‌ আসমান ও যমীনের আলো।'

 (সূরা নূর, আয়াত ৩৫)


মি'রাজ শরীফে নাবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার সাথে সাক্ষাত হয়েছিল। এ সম্পর্কে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, 'আমি নূর দেখেছি।' 

(সহীহ্‌ঃ মুসলিম শরীফঃ ৩৪১, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন)


অন্যত্র আছে, 'তিনি তো এক বিরাট জ্যোতি বা, আলো; অতএব, আমি তাকে কিভাবে দেখতে পারি?' 

(সহীহ্‌ঃ মুসলিম শরীফঃ ২৯১-(১৭৮), মুসনাদে আহমাদঃ ২১৪২৯, মুসনাদে বাযযারঃ ৩৯০৫, সহীহ্‌ ইবনু হিব্বানঃ ৫৮, আল মু'জামুল আওসাত্বঃ ৮৩০০, মিশকাতুল মাসাবীহঃ ৫৬৫৯)


নাবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

'তিনি (আল্লাহ্‌) নূর, আমি কি করে তা দৃষ্টির অধিগম্য করবো।'

(সহীহ্‌ঃ মুসলিম শরীফঃ ৩৪০, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন)


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন-

'আমি আমার রবকে শ্মশ্রুহীন যুবকের আকৃতিতে দেখেছি।'

অর্থাৎ, মহান রবের নূর ও তাজাল্লী হৃদয় দর্পণে অবলোকন করেছি। [নাবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র হৃদয় দর্পণে আল্লাহর নূর প্রতিফলিত হয়েছে।] কারণ, ঐ আকৃতি হল রূহানী দর্পণ, যা জ্যোতি ও জ্যোতি-অবলোকনকারীর মধ্যে একটি মাধ্যম মাত্র। যখন আল্লাহ্ তা'আলা আকৃতি-প্রকৃতি, পানাহার ও অস্তিত্বের বৈশিষ্ট্যাবলী ও প্রভাব থেকে পূতঃপবিত্র। সুতরাং, তাঁর আকৃতি একটি দর্পণ মাত্র। (আর, এ 'দর্পণ' শব্দটিও শুধুমাত্র বুঝানোর জন্য; অন্যথায়, তিনি তা থেকেও অনেক অনেক উর্ধ্বে।) 'দর্পণ' ও 'দর্শক' উভয়টিই মহান আল্লাহর সত্তার সাথে সম্বন্ধহীন।

(সির্‌রুল আসরারঃ পৃষ্ঠা ৬৩)


'ক্বলব্‌ অর্থাৎ, দিল একটি আয়নার ন্যায়; উহাতে তাওহীদের পারা লাগাইলে আল্লাহ্‌ তা'আলার মহব্বত অর্জন ও কুদরাত দর্শন লাভে সক্ষম হইতে পারিবে।'

(আনিছুত্তালেবীনঃ ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২০০)


'হজরত মুজাদ্দিদে আলফে সানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর জযবা ও সুলুক সম্পর্কেঃ 

জানা কর্তব্য যে, ইনায়েতে ইলাহী জাল্লা-সুলতানুহু সর্বপ্রথম আমাকে তাঁহার প্রতি আকর্ষিত করেন, যেমন- মুরাদের মাকামে উপনীত ব্যক্তিদেরকে আকর্ষিত করা হয়। অতঃপর, দ্বিতীয় পর্যায়ে, আমার জন্য এই জযবা, সুলুকের মঞ্জিল অতিক্রমণ সহজ করিয়া দেয়। বস্তুতঃ, প্রথমাবস্থায় আমি হক তা'আলার যাতকে, বস্তুর অনুরূপ প্রাপ্ত হই; যেমন- পরবর্তীকালের সুফিয়ায়ে কেরাম (তওহীদে-ওজুদীর মাকামে উপনীত ব্যক্তিগণ) এরশাদ করিয়াছেন। অতঃপর, আমি হক তা'আলাকে সমস্ত বস্তুর মধ্যে প্রাপ্ত হই, এমতাবস্থায় যে, তিনি উহাদের মধ্যে হলুল বা, প্রবেশ করেন নাই। পরে আমি হক তা'আলাকে মায়ীয়াতে যাতিয়া হিসাবে, সমস্ত বস্তুর সাথে অনুভব করি। অতঃপর, আমি হক তা'আলাকে সমস্ত বস্তুর পরে প্রাপ্ত হই। পরে সব বস্তুর প্রথমে পাই।


অতঃপর, আমি হক তা'আলা সুবহানুহুকে অবলোকন করি, আর সেখানে কোনকিছুই আমার দৃষ্টিগোচর হয় নাই। ইহাই হইল তওহীদে শুহুদীর অর্থ- যাহাকে ফানা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। বেলায়েতের রাস্তায় ইহাই প্রথম পদক্ষেপের স্থান। আর, ইহাই হইলো কামালাতের সর্বশেষ স্তর, যাহা প্রথমে হাসিল হইয়া থাকে। আর, এই দর্শন, যাহা আলোচিত স্তরসমূহের যে কোন স্তরেই প্রকাশ পাইতে পারে, প্রথমে ইহা বহির্জগতে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে অন্তর্জগতে প্রকাশ পায়।


অতঃপর, আমি বাকার স্তরে উন্নীত হই, যাহা বেলায়েতের রাস্তায় দ্বিতীয় পদক্ষেপস্বরূপ। পরে আমি সমস্ত বস্তুকে দ্বিতীয়বার অবলোকন করি এবং আমি হক তা'আলা সুবহানুহুকে এই সমস্ত বস্তুর অনুরূপ প্রাপ্ত হই; বরং, আমার নিজের মতই পাই। অতঃপর, আমি আল্লাহ্‌ তা'আলাকে সমস্ত বস্তুর মধ্যে দেখি; বরং, স্বয়ং আমার নাফসের মধ্যে অবলোকন করি। পরে বস্তুর সাথে; বরং, আমার নিজের সাথেই দেখি; অতঃপর, বস্তুর প্রথমে; বরং, নিজেরও প্রথমে অবলোকন করি। পরে আমি হক তা'আলাকে বস্তুর পশ্চাতে দেখি; বরং, আমি আমাকে পরে অবলোকন করি। অতঃপর, আমি বস্তুই দেখিতে পাই এবং আল্লাহ্ তা'আলাকে আদৌ দেখিতে পাই নাই। আর, ইহাই ছিল সর্বশেষ পদক্ষেপ, যেখান হইতে প্রথম পদক্ষেপের দিকে প্রত্যাবর্তন করিতে হয়। আর, এই মাকাম হইল মাখলুককে হক সুবহানুহুর দিকে দাওয়াত দেওয়ার এবং আহবান করিবার জন্য পরিপূর্ণ মাকাম। আর, এই মঞ্জিলই পূর্ণরূপে হাসিল হয়। কেননা, পূর্ণ দরজার ফায়দা পৌঁছানো এবং ফায়দা হাসিল করিবার জন্য ইহাই প্রয়োজন। আর, ইহাই আল্লাহর ফযল; তিনি যাহাকে ইচ্ছা- ইহা প্রদান করেন। আর, আল্লাহ্ বড়ই ফযলওয়ালা। আর, আলোচিত সমস্ত অবস্থা এবং লিখিত সমস্ত কামালাত আমার হাসিল হয়। বরং, ইহা ঐ সমস্ত ব্যক্তিরই হাসিল হইয়া থাকে, যাঁহারা সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও পরিপূর্ণ মানব হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তোফায়েলের সহিত সম্পৃক্ত। ইয়া আল্লাহ্! আমাদিগকে আপনার অনুসরণের উপর সুদৃঢ় রাখুন এবং আমাদের হাশর, আপনার-ই দলের সাথে করুন। (তাঁহাদের উপর সালাম ও শান্তি বর্ষিত হউক)। ইয়া আল্লাহ্‌! আপনি ঐ বান্দার প্রতি রহম করুন, যে আমার এই দোয়ার প্রতি আমীন বলে। তাঁহাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক- যাঁহারা হিদায়েতের অনুসরণ করেন।'

(মাআরিফে লাদুন্নিয়াঃ মারেফত আটত্রিশ, পৃষ্ঠা ৭৮,৭৯)


আর, 'আলো বস্তুকে দৃশ্যমান করে; কিন্তু, এটি নিজে অদৃশ্য। আমরা আলোকে দেখতে পাই না; কিন্তু, আলোকিত বস্তুকে দেখি।'

[আলোঃ উইকিপিডিয়া]


আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা সৃষ্ট আলোর যাবতীয় বৈশিষ্ট্য থেকে পবিত্র।


ইমাম আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহ্‌-এর 'আল ফিকহুল আকবারে' আছে, 'ওয়া হুয়া শাইউন।'


'মি'রাজের রাত্রিতে তাঁহার (প্রিয় নাবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) ইহজগতে আল্লাহ্‌ তা'আলার দর্শন লাভ হয় নাই ; বরং আখেরাত বা, পরজগতে ঘটিয়াছিল। কেননা, উক্ত রজনীতে তিনি স্থান-কালের বৃত্ত হইতে বহির্গত হইয়াছিলেন ও স্থানের সংকীর্ণতা ডিঙ্গাইয়া আজল বা, আদি ও আবাদ বা, অন্তকে একই মুহূর্তে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। প্রারম্ভ ও শেষ একই বিন্দুতে সন্নিবিষ্ট দর্শন করিয়াছিলেন। যে বেহেশতবাসীগণ বহু সহস্র বৎসর পর বেহেশতে গমন করিবেন, তাঁহাদিগকে তথায় অবলোকন করিয়াছিলেন। আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু)- যিনি ফকীর ছাহাবীগণের পাঁচশত বৎসর পর বেহেশতে গমন করিবেন, তাঁহাকে দেখিলেন যে, উক্ত কাল অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি বেহেশতে প্রবেশ করিলেন। তখন তাঁহাকে উক্ত বিলম্বের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। অতএব বুঝা গেল যে, উক্ত স্থানের অর্থাৎ, যে স্থানে গমন করতঃ হজরত নবীয়ে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্‌ তা'আলার দর্শন লাভ করিয়াছিলেন, সে স্থানের দর্শন পরকালের দর্শনের অন্তর্ভুক্ত। অতএব, আলেমগণের ইজমা বা, একতাবদ্ধ মতের বিপরীত হইল না। অর্থাৎ, পরজগত ব্যতীত যে, দর্শন লাভ হয় না, তাহার বিপরীত হইল না। এই দর্শনকে ভাবার্থে বা, বাহ্যিক হিসাবে পার্থিব দর্শন বলা যাইতে পারে। সমূদয় বিষয়ের প্রকৃত তত্ত্ব আল্লাহ্‌ তা'আলাই অবগত।'

(মকতুবাত শরীফঃ মুজাদ্দেদে আলফে সানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি; ১ম খন্ড, ৩য় ভাগ; ২৮৩ মকতুব, ১১৮ পৃষ্ঠা)


আর, মাওলানা মুহাম্মাদ জালালুদ্দিন রুমী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেনঃ 'সমগ্র জগৎ একই সত্তা..।'

(তায্‌কেরাতুল আওলিয়াঃ ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৫)


'তাওহিদে অজুদিঃ উহা এক খোদা তা'আলাকেই একমাত্র মাওজুদ (বিদ্যমান) মনে করা এবং সৃষ্ট পদার্থসমূহকে তাহারই জহুর (প্রকাশ) ব্যতীত আর কিছুই না বলিয়া মনে করা।'

(আনিছুত্তালেবীনঃ ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬৫)


'তৌহীদে-শুহুদী— এক-দর্শন, অর্থাৎ ছালেক বা, তরীকৎ পন্থীর দৃষ্টিতে এক-বস্তু ব্যতীত কিছুই থাকে না।'

(মকতুবাত শরীফঃ ১ম খন্ড, ১ম ভাগ; পৃষ্ঠা ৯০)


'লা মাওজুদা ইল্লাল্লাহ্‌।'

'আল্লাহ্‌ ব্যতীত কিছুই নাই।'

(আনিছুত্তালেবীনঃ ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২২৪)


প্রিয়নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, 'আমি আল্লাহ্‌ থেকে, আর সকল ঈমানদার আমার থেকে।'

(হক্বী, তাফসীরে হক্বী, ৩/২১৭; সাখাভীঃ মাকাসিদুল হাসানাহ্‌, ১/৫৫ ; সির্‌রুল আস্‌রারঃ পৃষ্ঠা ৫)


'এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই যে, এই সৃষ্টিজগতের স্রষ্টা হইলেন হক সুবহানাহু। আর, তিনিই উহাকে স্থিতিশীল রাখিয়াছেন। বস্তুতঃ চিরস্থায়ী ব্যাপারের সম্পর্ক হইলো, আখেরাতের অনন্ত শান্তি ও শাস্তির সহিত। যে সম্পর্কে সত্য সংবাদদাতা রসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংবাদ দিয়াছেন। জাহেরী আলেমগণ এই সৃষ্টিজগতকে মওজুদে খারেজী (বাহিরে অবস্থিত) হিসাবে জানেন এবং আছারে খারেজী (বাহিরের প্রভাবের ফলশ্রুতি) বলিয়া মনে করেন। আর সুফিগণ আলমকে মাওহুম (কাল্পনিক) হিসাবে মনে করেন এবং ধারণা ও অনুভূতি ব্যতিরেকে ইহাকে জানার কোন পন্থা নাই বলিয়া অনুমান করেন। সে কল্পনা এইরূপ নহে যে, উহা কেবলমাত্র ধারণার দ্বারাই সৃষ্টি হইয়াছে। যাহার ফলে ধারণা শেষ হওয়ার সাথে সাথে উহারও পরিসমাপ্তি ঘটিবে। আসল ব্যাপার আদৌ এইরূপ নয়। বরং, মহান রব্বুল 'আলামীনের সৃষ্টির কারণ খুবই মজবুত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি ধারণার মধ্যে স্থিতিশীলতা পয়দা করিয়াছেন, যাহার ফলে উহা মওজুদের (স্থিতিশীল থাকার) হুকুম এখতিয়ার (গ্রহণ) করিয়াছে। সমস্ত বুজর্গদের অভিমত এই যে, খারিজের (বাহিরের) মধ্যে কেবল হক সুবহানাহু তা'আলা মওজুদ (অবশিষ্ট) আছেন। আর, আলমের স্থিতিশীল হওয়ার ধারণা কেবলমাত্র জ্ঞানের দ্বারাই এবং বাহিরে উহার স্থিতি কল্পনাপ্রসূত বৈ আর কিছুই নয়।

আল্লাহ্‌ রবুল 'আলামীনের বাণী- আল্লাহর জন্য বুলন্দ (সুউচ্চ) মেছাল (সদৃশ, উদাহরণ) আছে। মওজুদে হাকিকী (মহান আল্লাহর প্রকৃত অবস্থান) জাল্লা শানুহু এবং মওহুমে-খারেজীর (কল্পনায় কোন কিছুর অবস্থান সম্পর্কে ধারণা করা) উদাহরণ হইল নকতায়ে জাওওয়ালার (সঞ্চারিত বিন্দুর) ন্যায়। আর, এই বিন্দুটি দ্রুতগতিতে ঘূর্ণনের কারণে যে বৃত্তটির সৃষ্টি হয়, এই কল্পিত বৃত্তটি ধারণার মধ্যে স্থিতি সৃষ্টি করে। অবশ্য প্রকৃতপ্রস্তাবে বৃত্তটির ধারণা কল্পনাপ্রসূত মাত্র। অন্যথায়, কেবল ঐ বিন্দুটিই মওজুদ।


মাশুকের গোপন ভেদ-এমন মেছাল

যেন উহা অন্যকিছু- অপরের হাল।


বস্তুতঃ আলম (সৃষ্টিজগত) হইলো অপ্রকৃত বস্তুর সমন্বয় মাত্র, তন্মধ্যে প্রকৃত স্থিতিশীল বস্তুর কোন সম্পর্ক নাই। আর, উহার সম্পর্ক হইল জাতে মওহুবের (নিছক জাত আল্লাহ্‌ তা'আলা) সহিত। পূর্ণ আরিফ (আল্লাহর পরিচয় লাভকারী) এই মারেফাতই (আল্লাহ্‌ পরিচিতি) পেশ করেন এবং উহাকে পূর্বশর্ত হিসাবে স্থাপন করেন। আর, এই জাতে মওহুবের বেঁ-চুনী হইতে কোন অংশ লাভ হইবে না। যেমন এ সম্পর্কে আলোচনা অন্য মকতুবে করা হইয়াছে। আর, যখন বেঁ-চুনরি সহিত সম্পর্ক স্থাপন করে; জ্ঞান ও দর্শনের বাহিরে যায় এবং বুদ্ধি ও ধারণার বহির্ভূত কাজ করে; তখন শুভবুদ্ধি যতই চেষ্টা করুক না কেন, কিছুই লাভ করিতে সক্ষম হয় না। বরং, যত দ্রুতই সে ধাবিত হইয়া যত দূরেই যাক না কেনো, কোন কিছুরই সে সন্ধান পাইবে না। কেবল পাইবে ছুম্মাল অরা, আল-অরা (পরে আরও পরে)। জওহরীয়াত (দূরে আরও দূরে- অভিষ্ট বস্তু) ও ইমকান (সম্ভাব্য) হওয়া সত্ত্বেও, তন্মধ্যে ঐ হুকুম অবশিষ্ট নাই। উহা নিস্তীর (অস্তিত্বহীনতা, শূন্যতা) হুকুম ব্যতীত অন্য কোন হুকুম কবুল করে না।'

(মুকাশিফাতে আয়নিয়াঃ হযরত মুজাদ্দেদে আলফে সানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি, মুকাশিফা - উনত্রিশ, পৃষ্ঠা ৬৩, ৬৪)


'বস্তুতঃ ঐ সমস্ত দৃশ্যমান বস্তু, যাহার আকৃতি প্রকাশ্যে অস্তিত্ববান আছে, ইহা কেবলমাত্র একটি ধারণা বৈ কিছুই নয় এবং উহা একটি ভুল ধারণা। যেমন, কাশফের অধিকারী ব্যক্তিদের দর্শন ক্ষমতা সাক্ষ্য প্রদান করে।'

(মাআরিফে লাদুন্নিয়াঃ পৃষ্ঠা ১৪)


'ঐ যাত অতি পবিত্র, যিনি স্বীয় যাত, সিফাত এবং আসমার দ্বারা সৃষ্টিজগতের নশ্বরতা সত্ত্বেও কোনরূপ পরিবর্তনকে কবুল করেন না।'


'আর ঐ কেন্দ্রবিন্দু, যাহা হইতে সমস্ত রেখার উৎপত্তি ঘটে এবং বৃত্তের শেষ প্রান্তের দিকে (অসীমে) সম্প্রসারিত হয়; উহা স্বীয় যাতের মধ্যে আধিক্যতাকে কবুল করে না।'

(মাআরিফে লাদুন্নিয়াঃ পৃষ্ঠা ১৯)


'বলুন! (হাবীব, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনি আল্লাহ্‌ এক। আল্লাহ্‌ অমুখাপেক্ষী। তিনি কোন কিছু হতে আসেননি এবং উনার থেকেও কোন কিছু আসেনি। এবং উনার সমতূল্য কিছুই নেই।'

(সূরা ইখলাস)


প্রকৃত সত্য আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা ও প্রিয় নাবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানেন।


Image from: Pixabay.

Read More

Thursday, October 27, 2022

// // Leave a Comment

প্রত্যাবর্তন


হযরত আবদুর রহমান হানাফী (রহঃ) যখন আরব সফরে ছিলেন তখন ফরিদপুরের এক লোক জাহাজ যোগে হজ্জ্ব সম্পাদনের জন্য মক্কা শরীফ যান।

হজ্জ্বের পর উনার বাড়ি ফেরার তারিখ তিনি ভুলে গিয়ে নির্দিষ্ট তারিখে স্টীমার ঘাটে আসতে পারেননি। ফলে জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। পরে হঠাৎ মনে পড়ায় লোকটি জিদ্দা গিয়ে এরপর আবার মক্কা শরীফ ফিরে পাগলপারা হয়ে ঘুরতে থাকেন। তখন হারাম শরীফে একজন বাঙ্গালীর সাথে উনার সব ঘটনা খুলে বলেন। ঐ ব্যক্তি তাকে বলেন যে, মেছফালাহ-তে একজন বাঙ্গালী কামেল অলী আছেন, উনার নিকটে গিয়ে বলে দেখো- কোনো ব্যবস্থা হয় কিনা।

ঠিকানামত ফরিদপুরের লোকটি গিয়ে দেখেন সোনাকান্দার পীর আবদুর রহমান হানাফী (রহঃ) মোরাকাবায় বসে আছেন। দীর্ঘ সময় বসার পর তিনি চলে আসেন। এভাবে তিনদিন পীর সাহেবকে এ অবস্থায় পান এবং তৃতীয় দিন দীর্ঘসময় অপেক্ষা করার পর পীর সাহেব হুজরা থেকে বের হলে লোকটি প্রাণ খুলে সব কথা বলেন। হুজুর তাকে বললেন, তুমি এ বছর আমার সঙ্গে থাকো; থাকা ও খাবার পয়সা কিছুই লাগবে না। আগামী বছর হজ্জ্ব করে দেশে যাবার সব ব্যবস্থা ইনশাআল্লাহ্‌ আমি করে দেব। এতে লোকটি কিছুতেই রাজি হলো না বরং বাড়ি যাবার জন্যে কান্নাকাটি শুরু করে দিল; কেননা বাড়িতে ছোট-ছেলে মেয়ে, স্ত্রী ও মা রয়েছেন। তাঁদের দেখাশোনা ও লালন-পালনের আর কেউ নেই।

এরপর পীর আবদুর রহমান হানাফী (রহঃ) লোকটি কে বললেন, আমার রুমে মোমবাতি আছে, অন্ধকার ঘরে বসে আলাপ করতে কেমন লাগে; নাও, এ মোমবাতিটি জ্বালিয়ে নিয়ে এসো। আমার কাছে দিয়াশলাই নেই, লোকটি বললো, হুজুর আগুন কোথায় পাবো? পীর সাহেব হুজুর বললেন, দেখোতো, ঐ দূরে কে যেন একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। লোকটি দেখে বললো, হ্যাঁ, তাইতো। তখন লোকটি হুজুরের হাত থেকে খালি মোমবাতিটি নিয়ে জ্বালানোর জন্যে দ্রুত ঐ মোমবাতিওয়ালার পিছনে দৌঁড়াতে লাগলো। কিন্তু যত দ্রুত দৌঁড়ায় কোন অবস্থায়ই বাতিটির কাছে পৌঁছাতে পারেনা।

এভাবে বাতিটির পিছনে পিছনে দ্রুত দৌঁড়াতে থাকে আর বাতিটিও পিছাতে থাকে; হঠাৎ ঐ ব্যক্তি দেখে সামনের বাতিটি নিভে গেছে। সেও বেঁহুশ হয়ে পড়ে যায়। এমন সময় ঐ হাজী সাহেবের মা চিৎকার করে বলতে থাকেন যে, তোমরা কে কোথায় আছো- জলদি এসো, আমার ছেলেতো মক্কা শরীফ হতে বাড়িতে চলে এসেছে। সবাই এসে আশ্চর্যান্বিত হয়ে ব্যাপার জিজ্ঞেস করলে লোকটি ঘটনাটি সবাইকে খুলে বলেন।

- সোনাকান্দার মাটি। (পৃষ্ঠাঃ ৮৪-৮৫) লেখকঃ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা উনার ওলীদের মতো আমাদেরকেও প্রিয়পাত্র করে নিন। আমীন।

***
Image Courtesy: https://pixabay.com/photos/way-sign-travel-landscape-nature-1767419/  


Read More

Thursday, February 20, 2020

// // 2 comments

অণুপ্রেরণায় পবিত্র কোরআন শরীফের ১০ আয়াত


 জীবনে অনেক সময় আমরা নানা কারণে হতাশ হই।তখন উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। নিজেকে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ মনে হয় তখন।

ওই মুহূর্তে আমরা এমন আশ্রয় খুঁজি, যার কাছে আমরা পেতে পারি সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
Read More

Sunday, January 26, 2020

// // Leave a Comment

হযরত ওয়াইস্ ক্করণী (রহঃ) এর নসীহত


 হযরত ওয়াইস্ ক্করণী (রহঃ) বলিয়াছেন, 

* যে ব্যক্তি খোদাকে চিনিয়াছে, তাঁহার নিকট কোন কিছুই গোপন থাকে না। 
* নির্জনতা অবলম্বনেই শান্তি।
* অন্য চিন্তা মনে স্থান না পাইলেই তাওহীদের জ্ঞান লাভ হয়।
* একাকী থাকা উচিত নয়।
Read More
// // Leave a Comment

হযরত হুসায়েন মানসূর হাল্লাজ (রহঃ)

 হযরত হুসায়েন মানসূর হাল্লাজ (রহঃ) তরঙ্গবিশিষ্ট প্রেম নদীর দুঃসাহসী ডুবুরী ও সত্যের অরণ্যে সিংহস্বরূপ ছিলেন। আল্লাহ্‌ পাকের রাস্তায় নানা ক্লেশ ও যন্ত্রণা ভোগ করিয়া তিনি নিহত হন। তাঁহার জীবনে নানা অদ্ভূত ও অত্যাশ্চর্য ঘটনাবলী ঘটিয়াছে।
Read More
// // Leave a Comment

বিস্ময়কর কারামত

 "হাল্লাজ" শব্দের অর্থ হইল ধুনকর। কথিত আছে, হযরত মানসূর (রহঃ) একবার এক ব্যক্তির কার্পাস তুলার স্তুপের নিকট দিয়া যাইতেছিলেন।
Read More

Friday, August 2, 2019

// // 1 comment

সত্যপথ প্রাপ্তি

 হযরত ইবরাহীম আদ্‌হাম (রহঃ) ছিলেন বলখের প্রতাপশালী বাদশাহ্‌। এক বিশাল রাজ্য ছিল তাঁহার শাসনাধীন। তিনি যখন ভ্রমণে বাহির হইতেন, তখন ৪০ জন করিয়া স্বর্ণের ঢাল ও রৌপ্যের গুর্জধারী সৈন্য তাঁহার অগ্রে ও পশ্চাতে তাঁহার দেহরক্ষীরূপে মোতায়েন থাকিত। 
একদা শাহী মহলে গভীর রাত্রে
Read More
// // Leave a Comment

অত্যাচারী এক বাদশাহের গল্প

 একাদশ শতাব্দীর প্রথমে অত্যাচারী ইসলাম বিরোধী সম্রাট আকবরের যুগে হযরত শায়েখ আহ্‌মাদ মোজাদ্দেদে আলফে সানী (রহঃ) ছিলেন। 
সম্রাট আকবর ইসলাম ধর্মের ভয়াবহ শত্রু হিসাবে দণ্ডায়মান হইয়াছিল।
Read More
// // 1 comment

গান-বাদ্যের কুফল



 পবিত্র কোরআন শরীফে সূরা লোকমানে আছে- "লোকদিগের মধ্যে কোন লোক এরূপ আছে যে, লাহ্‌ওয়াল হাদিছ গ্রহণ করে, যাতে নিখোঁজভাবে লোকদিগকে খোদাতা'আলার রাস্তা হতে পথভ্রষ্ট করতে পারে এবং ইহাকে বিদ্রুপ মনে করে; তাদের জন্য জঘন্যতম শাস্তি আছে। "
যে কাজ করলে শাস্তি ভোগ করতে হয়, তাই হারাম (নিষিদ্ধ)।
লাহ্‌ওয়াল হাদীছের মর্মে তাফসীরে ইবনে জারীর তাবারীর ২য় খন্ড ৩১ পৃষ্ঠায় আছে- সায়ীদ বিন জোবায়ের, আবুছ্‌ ছাহবা বাকরী হতে রেওয়ায়েত করেছেন, তিনি হযরত আবদুল্লাহ্‌ বিন মাছউদ (রাঃ) কে এই আয়াত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হতে শুনেছিলেন। ইহাতে তিনি বলেছিলেন, "আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোন মা'বুদ নেই, উনার কসম করে বলছি, লাহ্‌ওয়াল হাদীছ রাগ-রাগিনীসহ গানকে বলা হয়। তিনি পুনঃ পুনঃ এই কথাটি বলেছিলেন।
তাফসীরে রুহুল মা'আনী ৯ খন্ডে বিভক্ত। এর ৬ষ্ঠ খন্ডের ৪৬৩ পৃষ্ঠায় লিখা আছে, লাহ্‌ওয়াল হাদীছের অর্থ- গান।
সূরা নজমের শেষ আয়াত "ওয়া আনতুম সা-মিদুন। "
তাফসীরে বায়জাবী শরীফে আছে- "সা-মিদুন" শব্দের অর্থ সঙ্গীতকারীগণ।
সূরা বনী ইসরাঈলে আছে, আল্লাহ্‌ তা'আলা শয়তানকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, তুমি আদম সন্তানগণের মধ্যে যাকে পারো নিজের শব্দ দ্বারা উত্তেজিত করো।
শয়তানের শব্দই গান-বাদ্য। কাজেই উহা হারাম।
তাফসীরে দুররুল মানছুরের ৫ম খন্ড ১৫৯, ১৬০ পৃষ্ঠায় আছে, লাহ্‌ওয়াল হাদীছের অর্থ- গান-বাদ্য।
তাহ্‌তাবী কিতাবের ৪র্থ খন্ড ১৭৩ পৃষ্ঠা কাহাস্তানিতে লিখা আছে,
ইবলীছ সর্বপ্রথম গানের সৃষ্টি করেছে এবং সামেরীর শাগরিদগণ সর্বপ্রথম লাফালাফি, নাচানাচি, জমিতে লুন্ঠন-প্রথা আরম্ভ করেছিল।
যখন হযরত মুসা (আঃ) তূর পাহাড়ে ছিলেন, তখন হারুন (আঃ) সামেরীকে নিষেধ করা সত্ত্বেও সামেরী- নিজের শাগরিদদিগের জন্য রক্ত-মাংসময় গরুর বাচ্চার মূর্তি সৃষ্টি করেছিল এবং সেই সময় তারা লাফালাফি করে জমিতে উলট-পালট হয়ে পড়ে গরুর পূজা করেছিল। ইহা কাফের ও গো-পূজকদের ধর্ম। বিধর্মীগণ মুসলমানদিগকে পবিত্র কোরআন শরীফ পাঠ হতে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে বংশী-বাদ্য তৈরি করেছিল। জালাল উদ্দিন গিলানী (রহঃ) বলেছেন, এই সমস্ত হারাম। হালাল জানলে কাফের হবে।
তাফসীরে রুহুল মা’আনীর ৬ষ্ঠ খন্ড, ৪৬৩, ৪৬৪ পৃষ্ঠায় আছে, হযরত হাসান বসরী (রহঃ) হতে বর্ণিত, গল্প-গুজব, ঠাট্টা-বিদ্রূপজনক কথা ও গান উক্ত আয়াতে নিষিদ্ধ হয়েছে।
তাফসীরে রুহুল মা’আনী ৩য় খন্ড ৪৪, ৪৫ পৃষ্ঠায় আছে,
সেতারা,দোতারা, একতারা, বেহালা ইত্যাদি গানের বাদ্যযন্ত্রসমূহ যে হারাম, ইহাতে মতভেদ নাই।
...
ইমাম আহমদ (রহঃ) বর্ণনা করেছেন, প্রিয়নবী (সাঃ) বলেছেন, "নিশ্চয়ই খোদাতা'আলা আমাকে পৃথিবীর রহমত ও পথ-প্রদর্শক করে পাঠিয়েছেন এবং বংশী, সারেঙ্গী ও সমস্ত বাদ্য-যন্ত্রসমূহ ধ্বংস করার আদেশ করেছেন। "
ইমাম তিবরানী ও ইবনে আবিদ্‌ দুন্‌ইয়া এই হাদিছটি বর্ণনা করেছেন যে, ইবলিছ জমিতে পড়ে বলেছিল, হে খোদা! তুমি আমাকে জমিনে নিক্ষেপ করেছো এবং স্বীয় দরবার হতে তাড়িয়ে দিয়েছো- এখন আমাকে একটি ঘর তৈরি করে দাও। খোদাতা'আলা বললেন, উহা স্নানাগার।
একটি সভা ঠিক করে দাও; খোদাতা'আলা বললেন, উহা বাজারসকল ও রাস্তার সম্মিলন স্থল।
আমার জন্য খাদ্য নির্দেশ করে দাও; খোদাতা'আলা বললেন, যে বস্তুর উপর খোদার নাম পাঠ করা না হয়, সেটাই তোমার খাদ্য।
আমার জন্য পানীয় ঠিক করে দাও; খোদাতা'আলা বললেন, প্রত্যেক নিশাযুক্ত বস্তুই তোমার জন্য পানীয়, যথা- গাঁজা, ভাং, চরস, তাড়ি ও মদ ইত্যাদি।
...
হযরত (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় গানের সুরে কর্ণদ্বয় পূর্ণ করে রাখে, হাশরের দিন তাকে রুহানীদিগের শব্দ শুনতে অনুমতি দেওয়া হবে না। লোকে জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ), রুহানী কাকে বলে? হযরত (সাঃ) বললেন, বেহেশতবাসী ফেরেশতা ও হুরদিগের মধ্যে যারা কোরআন শরীফ পাঠ করবে, তাদেরকেই রুহানী বলা হয়।
...
বাহরুর রায়েক ৭ম খন্ড, ৮৮ পৃষ্ঠায় আছে,
যে গানে আমোদ-প্রমোদ আছে; অথবা, কুরিপুগুলিকে উত্তেজিত করে তোলে, তা বাদ্য- যন্ত্রবিহীন হলেও হারাম (নিষিদ্ধ)।
...
তফসীরে আহমদি ৬০০ পৃষ্ঠায় আছে,
যে ব্যক্তি গান করতে উচ্চশব্দ করে, খোদাতা'আলা তার উপর দুইটি শয়তান পাঠিয়ে দেন; সে যতক্ষণ গান করতে থাকে, শয়তান দুইটি তার দুই কাঁধে বসে ততক্ষণ পদাঘাত করতে থাকে।
...
ইমাম আবু জাফর তাবারী বলেছেন, কাবিল বংশের কুফল নামক এক ব্যক্তি নানারূপ খেলা-তামাশাজনক বস্তুসমূহ তৈরি করেছিল, সে সময় মোহলাইল বিন কিবান নামক ব্যক্তি বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে বংশী, ঢোল এবং উদ্‌ তৈরি করেছিল। এতেই কাবিলের বংশধর খেলা-তামাশায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। তারপর, শীশ (আঃ) এর বংশধরগণ (যাদের মধ্যে কিছু বদকার বা খারাপ ছিল) সংবাদ পেয়ে তাদের একদল উক্ত দলের সঙ্গে মিলিত হয় এবং জিনা ও মদ্যপান আরম্ভ করে।
হাদীছ শরীফে আছে, গান-বাদ্য জিনার মন্ত্র।
...
আবুল হারেছ আওলাছী (রহঃ) বলেছেন, আমি স্বপ্নযোগে দেখছিলাম, একটি ছাদের উপর ডানে ও বামে দুইদল সৈন্য নিয়ে শয়তান বসেছে। সে একদলকে বলল, তোমরা দাঁড়িয়ে গান করো। তখন তারা দাঁড়িয়ে গান করতে লাগলো। তারপর বলল, নাচ আরম্ভ করো, তখন নৃত্য করতে লাগলো। তখন শয়তান বলল, হে আবুল হারেছ! আমি গান-বাদ্য ও নাচ ব্যতীত তোমাদের নিকট উপস্থিত হতে পারি না।
...
কোরআন শরীফ সূরা ফোরকানে আছে- "তারা (পরহেজগার লোকেরা) বাতিলের অর্থাৎ, খেলা-তামাশা ও গানের সভায় উপস্থিত হন না। "
তাফসীরে কাশশাফের ২য় খন্ড ৩৩৪ পৃষ্ঠায় আছে, পরহেজগারেরা শিরক, মিথ্যালোচনা স্থলে, প্রতিমালয়ে, গান-বাদ্যস্থলে, খৃষ্টানদের পর্বে, স্ত্রীলোকদের উচ্চস্বরে ক্রন্দনস্থলে এবং মুত্তাকীদের না-পছন্দ কোন সভায়ই উপস্থিত হন না।
কোরআন শরীফ সূরা মো'মেনে আছে, "আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি বলে কি তোমরা ধারণা করছো?"
উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে বায়জাবী শরীফের ৪র্থ খন্ড ৭২ পৃষ্ঠায় আছে, - তোমাদিগকে নানারূপ খেলা-তামাশার জন্য সৃষ্টি করিনি।
...
হযরত সালমান (রাঃ) হইতে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ- "কেয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার লক্ষণসমূহের মধ্যে দুইটি এই যে, লোকে কোরআন শরীফকে রাগ-রাগিনীর সাথে পাঠ করবে এবং গান-গায়কের দল বেড়ে যাবে।
- আনিছূত্তালেবীন। [৪র্থ খন্ড, ৯১-৯৬ পৃষ্ঠা। ] লেখকঃ মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ আবদুর রহমান হানাফী (রহঃ)।

মাটির মধ্যে পানি পতিত হলে যেমনিভাবে ঘাস জন্মায়, গান শুনলে অন্তরে তেমনি করে মোনাফেকি (কপটতা বা ভন্ডামী) সৃষ্টি হয়।
...
মহান আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের সবাইকে গান-বাদ্যসহ সকল ফেতনা-ফাছাদ থেকে রক্ষা করুন। আমীন।।
***
Image by Erich Westendarp from Pixabay
Read More
// // Leave a Comment

বাদ্যযন্ত্র সমাচার

 এক রাত্রিতে হযরত বায়েযীদ (রহঃ) কবরস্থানের দিকে যাইতেছেন, এমন সময়ে বস্তাম শহরের কোন নেতৃস্থানীয় লোকের এক যুবক পুত্র বাদ্য-যন্ত্র বাজাইয়া তাহার সম্মুখ দিয়া যাইতেছিল।
Read More
// // Leave a Comment

প্রিয় নবীজী (সা.) দেখতে কেমন ছিলেন

 মুমিন হৃদয়ের একান্ত আশা, যদি সব কিছুর বিনিময়ে হলেও প্রিয়নবী (দ.)কে জীবনে একনজর দেখতে পেতাম! যে নবীজিকে (ঈমানের চোখে) একবার দেখবেন তাকে জাহান্নামের আগুণ স্পর্শ করবে না। (তিরমিাজ।) প্রিয় রাসুল (দ.)-এর পবিত্র আকার-আকৃতি অনেক সাহাবি থেকে বর্ণিত হয়েছে।
Read More

Friday, May 3, 2019

// //

মজযূবের বহুরূপ

 যে সকল বুযুর্গ সৃষ্টি সম্পর্কিত খেদমতে নিয়োজিত আছেন তারা রয়েছেন গোপনভাবে। তাঁদের শান হলো হযরত খিজির (আঃ) –এর মতো। তাদের খোঁজ পাওয়া বড় মুশকিল। তারা গোয়েন্দার মতো গোপনে থাকেন। এই জন্যে তাদেরকে তালাশ করা বৃথা। 

Read More

Monday, December 17, 2018

// // Leave a Comment

ঋণ

 বর্ণিত আছে, হযরত মোহাম্মদ ইবনে আসলাম তূসী (রহঃ) অনেক সময় টাকা কর্জ করিয়া ফকির-দরবেশদিগকে বিলাইয়া দিতেন। একবার একজন ইহুদী মহাজন আসিয়া বলিল, “হুযুর, আমি যে আপনার নিকট কিছু পাওনা ছিলাম, এখন তাহা পরিশোধ করুন। ” তুসী উত্তরে বলিলেন, “এখন আমার নিকট তো কিছুই নাই। ” অল্পক্ষণ পূর্বে তিনি একটি কলম কাটিয়াছিলেন, উহার কর্তিত টুকরা সেখানে পড়িয়া ছিল;
Read More

Thursday, June 14, 2018

// // Leave a Comment

স্বীকারোক্তি

 এক ব্যক্তি হযরত ঈসা (আঃ) এর খেদমতে সফরে রওয়ানা হলো। ঈসা (আঃ) এর সঙ্গে তিনটি রুটি ছিল। এক নদীর তীরে পৌঁছে তিনি দুইটি রুটি আহার করলেন এবং পানি পান করার জন্যে নদীতে গেলেন। ফিরে এসে দেখেন অবশিষ্ট একটি রুটি নাই।
তিনি সেই লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন, “রুটি কে নিয়েছে?”
লোকটি বললো, “আমি জানিনা। ”
তিনি লোকটিকে নিয়ে আবার রওয়ানা হলেন। রাস্তা চলতে চলতে যখন ক্ষুধার উদ্রেক হলো তখন তিনি দূরে একটি হরিণী দেখতে পেলেন।
Read More
// // Leave a Comment

উটের বোঝা

 কথিত আছে, একবার হযরত বায়েযীদ বোস্তামী (রহঃ) হজ্জ্বে গমন কালে তাঁহার ও তাঁহার মুরীদগণের সমস্ত মালপত্র একটি উট বোঝাই করিয়া যাইতেছিলেন।  ইহা দেখিয়া জনৈক পথিক বলিল, ‘এই নিরীহ উটটির উপর বড় ভারী বোঝা চাপান হইয়াছে, ইহা অত্যন্ত যুলুম করা হইতেছে। ’
হযরত বায়েযীদ (রহঃ) বলিলেন, “এসমস্ত বোঝা উটটি বহন করিতেছে না।
Read More
// // Leave a Comment

সব টাকা নদীতে

 পীরকে আসলে এমন এক ডাক্তার হওয়া উচিত যেরূপ এক বুজুর্গের কাছে এক ব্যক্তি মুরীদ হতে গেল। বুজুর্গ জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার কাছে কোন টাকা-পয়সা আছে কি?”
কারণ, সম্পদের প্রতি মহব্বত থাকলে তাছাওউফ গ্রহণ করা অসম্ভব। লোকটি আরজ করলো, “একশত টাকা আছে। ” [আগের যুগের
Read More
// // Leave a Comment

শেষ কান্না

 বনী ইসরাইল গোত্রে জনৈক ভবঘুরে ও লম্পট লোক ছিল। বিভিন্ন ধরণের গর্হিত কাজে সে লিপ্ত থাকতো। নগরবাসীর বহু চেষ্টাও তার কোন প্রকার সংশোধন করতে পারে নাই। অবশেষে অতিষ্ঠ হয়ে সকলেই আল্লাহর দরবারে তার কদর্যতা হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য কায়মনোবাক্যে মুনাজাত করলো। অতঃপর, আল্লাহ্‌ তা’আলা তাদের দো’আ কবুল করে হযরত মূসা আলাইহিস সালামের নিকট ওহী পাঠালেনঃ ‘হে মূসা! বনী ইসরাইল গোত্রে একজন ভন্ড যুবক আছে,
Read More

Wednesday, May 30, 2018

// // Leave a Comment

মুক্তিপত্র

 শামা’উন নামীয় জনৈক অগ্নিপূজক হযরত হাসান বছরী (রহঃ) –এর প্রতিবেশী ছিল। একবার যখন সে কঠিন রোগে আক্রান্ত হইয়া মরণাপন্ন অবস্থায় আসিয়া পৌঁছিল, তখন এক ব্যক্তি আসিয়া হাসান বছরী (রহঃ) –কে সংবাদ দিল। সংবাদ পাওয়া মাত্র তৎক্ষণাৎ তিনি লোকটির নিকট ছুটিয়া গেলেন। দেখিলেন- আগুনের ধোঁয়ার ন্যায় তাহার সর্বশরীর কাল হইয়া গিয়াছে।
Read More

Monday, May 28, 2018

// // Leave a Comment

হাতুড়ে ডাক্তারের কীর্তি

 পীরের উদাহরণ ঠিক যেন একজন ডাক্তার। ডাক্তার যদি হাতুড়ে হয় তাহলে আবার রোগীর জান বাঁচানো বিপদ। যেমন একটা প্রবাদ আছেঃ
মূর্খ ডাক্তারে জানের বিপদ,
মূর্খ মোল্লায় ঈমানের বিপদ। 
কোন কোন মূর্খ পীর রয়েছে সব অনুসারীকে একই পাল্লায় ওজন করে থাকে। এই কারণেই মানুষের সংশোধন এবং রূহানী উন্নতি হয় না। যেমন এক মূর্খ ডাক্তারের ঘটনা রয়েছেঃ
রোগী দেখার জন্যে তাকে ডাকা হলো।
Read More

Tuesday, May 22, 2018

// // Leave a Comment

রোযা


 রোজা ইসলামের অন্যতম ভিত্তি।  রসূলে মকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- “আল্লাহ্‌ বলিয়াছেন, প্রত্যেক নেক কাজের সওয়াব আমি দশ হইতে সাতশত পর্যন্ত দিয়া থাকি।  কিন্তু, রোযা কেবল আমার উদ্দেশ্যেই রাখা হয় বলিয়া আমি স্বয়ং ইহার প্রতিদান। 
Read More