এক রাত্রিতে হযরত বায়েযীদ (রহঃ) কবরস্থানের দিকে যাইতেছেন, এমন সময়ে বস্তাম শহরের কোন নেতৃস্থানীয় লোকের এক যুবক পুত্র বাদ্য-যন্ত্র বাজাইয়া তাহার সম্মুখ দিয়া যাইতেছিল।
সে তাঁহার নিকটবর্তী হইলে তিনি বলিলেন, لا حول و لا قوة الا با لله العلي العظيم – অর্থাৎ, “সুমহান ও মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্ তা’আলা ভিন্ন ভাল কাজ করিবার ও মন্দ কাজ হইতে বাঁচিবার কাহারও সাধ্য নাই। ” [মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তা’আলা ভিন্ন এই যুবককে তাহার এই দুষ্ক্রিয়া ও অপকর্ম হইতে ফিরাইবার শক্তি আর কাহারও নাই- ইহাই তিনি বুঝিয়েছিলেন। ]
যুবক ইহাতে রাগান্বিত হইয়া নিজের হাতের বাদ্য-যন্ত্র দ্বারা হযরত বায়েযীদ (রহঃ)-এর মাথায় সজোরে আঘাত করিল। ইহাতে তাঁহার মস্তক ফাটিয়া গেল এবং তাহার বাদ্যযন্ত্রটিও ভাঙ্গিয়া গেল; হযরত বায়েযীদ (রহঃ) তাহাকে কিছু না বলিয়া নীরবে নিজের আস্তানার দিকে চলিয়া গেলেন। পরদিন ভোরবেলায় তিনি বাদ্যযন্ত্রটির মূল্যস্বরূপ কিছু টাকা এবং এক থালা ‘হালুয়া’ তাঁহার জনৈক চাকরের দ্বারা উক্ত যুবকের নিকট পাঠাইয়া বলিয়া দিলেন যে, ‘তুমি যাইয়া আমার তরফ হইতে যুবকটিকে বলিও, “ভাই! গতরাত্রে আপনি আমার মাথায় আঘাত করিয়া আপনার একান্ত সাধের বাদ্যযন্ত্রটি ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছেন, উহার মূল্য বা ক্ষতিপূরণস্বরূপ এই টাকাগুলি গ্রহণ করুন এবং আপনার মন মত আর একটি বাদ্যযন্ত্র খরিদ করিয়া লউন।
আর, এই হালুয়া সেবন করুন, তাহাতে বাদ্যযন্ত্র ভাঙ্গার দরুন আপনার মনে যে ক্রোধ ও কষ্ট হইয়াছে, তাহা দূর হইয়া যাইবে। ”
পরবর্তীতে, যুবক হযরত বায়েযীদ (রহঃ) -এর এরূপ ব্যবহারে মুগ্ধ হইয়া তন্মুহূর্তে তাঁহার পায়ে পড়িয়া রোদন করিল এবং তাঁহার নিকট মুরিদ হইল। এই ঘটনা দেখিয়া
শহরের আরও কয়েকজন চরিত্রহীন যুবক হযরত বায়েযীদ (রহঃ) -এর খেদমতে আসে এবং নিজেদের দুষ্কৃতি হইতে তওবা করিয়া তাঁহার মুরিদ শ্রেণীভুক্ত হইয়া যায়।
এই অভাবনীয় পরিবর্তন একমাত্র হযরত বায়েযীদ (রহঃ)-এর ক্ষমা, মহত্ত্ব এবং অমায়িক ব্যবহারেরই ফল।
• তাযকেরাতুল আওলিয়া। [১ম খন্ড, ১৮১-১৮২ পৃষ্ঠা]
***
সে তাঁহার নিকটবর্তী হইলে তিনি বলিলেন, لا حول و لا قوة الا با لله العلي العظيم – অর্থাৎ, “সুমহান ও মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্ তা’আলা ভিন্ন ভাল কাজ করিবার ও মন্দ কাজ হইতে বাঁচিবার কাহারও সাধ্য নাই। ” [মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তা’আলা ভিন্ন এই যুবককে তাহার এই দুষ্ক্রিয়া ও অপকর্ম হইতে ফিরাইবার শক্তি আর কাহারও নাই- ইহাই তিনি বুঝিয়েছিলেন। ]
যুবক ইহাতে রাগান্বিত হইয়া নিজের হাতের বাদ্য-যন্ত্র দ্বারা হযরত বায়েযীদ (রহঃ)-এর মাথায় সজোরে আঘাত করিল। ইহাতে তাঁহার মস্তক ফাটিয়া গেল এবং তাহার বাদ্যযন্ত্রটিও ভাঙ্গিয়া গেল; হযরত বায়েযীদ (রহঃ) তাহাকে কিছু না বলিয়া নীরবে নিজের আস্তানার দিকে চলিয়া গেলেন। পরদিন ভোরবেলায় তিনি বাদ্যযন্ত্রটির মূল্যস্বরূপ কিছু টাকা এবং এক থালা ‘হালুয়া’ তাঁহার জনৈক চাকরের দ্বারা উক্ত যুবকের নিকট পাঠাইয়া বলিয়া দিলেন যে, ‘তুমি যাইয়া আমার তরফ হইতে যুবকটিকে বলিও, “ভাই! গতরাত্রে আপনি আমার মাথায় আঘাত করিয়া আপনার একান্ত সাধের বাদ্যযন্ত্রটি ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছেন, উহার মূল্য বা ক্ষতিপূরণস্বরূপ
আর, এই হালুয়া সেবন করুন, তাহাতে বাদ্যযন্ত্র ভাঙ্গার দরুন আপনার মনে যে ক্রোধ ও কষ্ট হইয়াছে, তাহা দূর হইয়া যাইবে। ”
পরবর্তীতে, যুবক হযরত বায়েযীদ (রহঃ) -এর এরূপ ব্যবহারে মুগ্ধ হইয়া তন্মুহূর্তে তাঁহার পায়ে পড়িয়া রোদন করিল এবং তাঁহার নিকট মুরিদ হইল। এই ঘটনা দেখিয়া
শহরের আরও কয়েকজন চরিত্রহীন যুবক হযরত বায়েযীদ (রহঃ) -এর খেদমতে আসে এবং নিজেদের দুষ্কৃতি হইতে তওবা করিয়া তাঁহার মুরিদ শ্রেণীভুক্ত হইয়া যায়।
এই অভাবনীয় পরিবর্তন একমাত্র হযরত বায়েযীদ (রহঃ)-এর ক্ষমা, মহত্ত্ব এবং অমায়িক ব্যবহারেরই ফল।
• তাযকেরাতুল আওলিয়া। [১ম খন্ড, ১৮১-১৮২ পৃষ্ঠা]
***
0 Comments:
Post a Comment