পীরকে আসলে এমন এক ডাক্তার হওয়া উচিত যেরূপ এক বুজুর্গের কাছে এক ব্যক্তি মুরীদ হতে গেল। বুজুর্গ জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার কাছে কোন টাকা-পয়সা আছে কি?”
কারণ, সম্পদের প্রতি মহব্বত থাকলে তাছাওউফ গ্রহণ করা অসম্ভব। লোকটি আরজ করলো, “একশত টাকা আছে। ” [আগের যুগের
একশত টাকা ছিল এখনকার অনেক অনেক টাকার সমান!]
বুজুর্গ বললেন, “এগুলি থেকে মুক্ত হয়ে তবে এসো। ”
লোকটি আরজ করলো, “আচ্ছা, ঠিক আছে। ”
তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “কিভাবে ঐগুলি বর্জন করবা?”
আরজ করলো, “কোন মিসকীনকে দিয়ে দিব। ”
তিনি বললেন, “এর দ্বারা তো মনের গোপনে অহংকারের এক স্বাদ পাওয়া যাবে যে, হ্যাঁ, আমি বড় দানশীল হয়ে গেছি। বরং, তুমি ঐগুলি নদীতে ফেলে এসো। ”
লোকটি আরজ করলো, “আচ্ছা, তাই করবো। ”
তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “কিভাবে নদীতে ফেলবে?”
বললো, “সব টাকা নিয়ে গিয়ে এক সাথে ফেলে দিয়ে আসবো। ”
তিনি বললেন, “এভাবে নয়। বরং, প্রতিদিন এক টাকা করে ফেলে আসবে।
যেন মনের উপর করাতের আঁচড় লাগে প্রতিদিন। প্রতিদিন অনুশীলন ও ত্যাগের ঘা খেয়ে খেয়ে দুনিয়া বিদূরিত হবে। মনটা হবে স্বাভাবিক, পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ।
একেই বলে পীর। এরা রূহানী রোগের চিকিৎসা একজন দক্ষ ডাক্তারের মত করে থাকেন। এরা রূহানী রোগের উপসর্গ দেখে কাউকে সম্পদ সঞ্চয় করতে বলেন আবার কাউকে সম্পদ বর্জন করতে বলেন। কাউকে রাজত্ব পর্যন্ত ত্যাগ করিয়ে দিয়েছেন।
অথচ, এই রাজত্ব লাভকেই আজকাল চরম পর্যায়ের উন্নতি বলে মনে করা হয়। তারা বুঝে না যে, আম্বিয়া (আঃ) কে প্রেরণের উদ্দেশ্যই ছিল এই যে, দুনিয়াকে মানুষের অন্তর থেকে বাহির করবেন। যদিও হাতে প্রয়োজন অনুপাতে কিছু থাকবে। অন্তরে শুধু থাকবে আল্লাহ্। তাই বলছি, অন্তরকে সাফ রাখো। বলা যায় না, কখন সেখানে ‘নূরে হক’ স্থান লাভ করবে। বলা যায় না, কখন সেখানে ‘নূরে রহমত’ প্রবাহিত হয়।
-আল ইফাযাতুল ইয়াওমিয়্যাহ্। [খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৭৫]
***
কারণ, সম্পদের প্রতি মহব্বত থাকলে তাছাওউফ গ্রহণ করা অসম্ভব। লোকটি আরজ করলো, “একশত টাকা আছে। ” [আগের যুগের
একশত টাকা ছিল এখনকার অনেক অনেক টাকার সমান!]
বুজুর্গ বললেন, “এগুলি থেকে মুক্ত হয়ে তবে এসো। ”
লোকটি আরজ করলো, “আচ্ছা, ঠিক আছে। ”
তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “কিভাবে ঐগুলি বর্জন করবা?”
আরজ করলো, “কোন মিসকীনকে দিয়ে দিব। ”
তিনি বললেন, “এর দ্বারা তো মনের গোপনে অহংকারের এক স্বাদ পাওয়া যাবে যে, হ্যাঁ, আমি বড় দানশীল হয়ে গেছি। বরং, তুমি ঐগুলি নদীতে ফেলে এসো। ”
লোকটি আরজ করলো, “আচ্ছা, তাই করবো। ”
তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “কিভাবে নদীতে ফেলবে?”
বললো, “সব টাকা নিয়ে গিয়ে এক সাথে ফেলে দিয়ে আসবো। ”
তিনি বললেন, “এভাবে নয়। বরং, প্রতিদিন এক টাকা করে ফেলে আসবে।
যেন মনের উপর করাতের আঁচড় লাগে প্রতিদিন। প্রতিদিন অনুশীলন ও ত্যাগের ঘা খেয়ে খেয়ে দুনিয়া বিদূরিত হবে। মনটা হবে স্বাভাবিক, পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ।
একেই বলে পীর। এরা রূহানী রোগের চিকিৎসা একজন দক্ষ ডাক্তারের মত করে থাকেন। এরা রূহানী রোগের উপসর্গ দেখে কাউকে সম্পদ সঞ্চয় করতে বলেন আবার কাউকে সম্পদ বর্জন করতে বলেন। কাউকে রাজত্ব পর্যন্ত ত্যাগ করিয়ে দিয়েছেন।
অথচ, এই রাজত্ব লাভকেই আজকাল চরম পর্যায়ের উন্নতি বলে মনে করা হয়। তারা বুঝে না যে, আম্বিয়া (আঃ) কে প্রেরণের উদ্দেশ্যই ছিল এই যে, দুনিয়াকে মানুষের অন্তর থেকে বাহির করবেন। যদিও হাতে প্রয়োজন অনুপাতে কিছু থাকবে। অন্তরে শুধু থাকবে আল্লাহ্। তাই বলছি, অন্তরকে সাফ রাখো। বলা যায় না, কখন সেখানে ‘নূরে হক’ স্থান লাভ করবে। বলা যায় না, কখন সেখানে ‘নূরে রহমত’ প্রবাহিত হয়।
-আল ইফাযাতুল ইয়াওমিয়্যাহ্। [খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৭৫]
***
0 Comments:
Post a Comment