Sunday, January 26, 2020

// // Leave a Comment

বর্তমান ঘটনাপ্রবাহঃ হযরত শাহ্‌ নিয়ামতউল্লাহ্‌ কাশ্মীরি (রহঃ) এর ভবিষৎবাণী অনুযায়ী

 * মুকুটবিহীন অযোগ্য বাদশাহ্‌গণ রাজত্ব করিবে। তাহারা অনেক আইন-কানুন জারি করিবে। কিন্তু সমস্তই অযোগ্য হইবে।
* ঘুষ এবং অলসতার কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারী কাজকর্ম সময়মত হইবে না।

* জ্ঞানীগণ নিজ নিজ জ্ঞানের উপর এবং বুদ্ধিজীবিগণ নিজ নিজ বুদ্ধির উপর অনুতাপ করিবেন। (যে, হায়রে! কী করিলাম, আর কী হইল। ) কিন্তু, অযোগ্যগণ উলঙ্গ নাচের নেশায় বিভোর হইবে।
* মানুষের মধ্যে সীমাহীনভাবে অন্যায় কার্যকলাপ সংঘটিত হইবে এবং রোজ রোজ বৃদ্ধি পাইবে।
* যুগের প্রতি ঔদাসীন্যের কারণে আদর এবং স্নেহ- নিষ্ঠুরতায়; আর, তাযীম ও সম্মান -
বেআদবীতে পরিবর্তিত হইবে।
* বোনেরা ভাইগণের সহিত, মা ছেলের সহিত এবং পিতা কন্যার সহিত যৌন অপরাধ করিবে।
* হারাম-হালালের পার্থক্য মোটেই থাকিবে না এবং মহিলাদের অপহরণ করা হইবে, শালীনতা ও ইজ্জ্বত লুন্ঠন করা হইবে।
* বেপর্দা এবং উলঙ্গপনা সাধারণ ব্যাপার হইবে; মহিলাগণ বাহ্যতঃ বেশ সতীত্ব প্রদর্শন করিবে; কিন্তু গোপনে দেহ ব্যবসা করিবে।
* অত্যন্ত হীন লোক বাহ্যতঃ বুযুর্গ হইবে; কিন্তু, গোপনে সামান্য পয়সার বিনিময়ে মেয়ে বিক্রির ন্যায় ঘৃণ্য পেশা অবলম্বন করিবে।
* রোযা, নামায, হজ্জ্ব, যাকাত, ফিতরা প্রভৃতি হইতে উৎসাহ কমিয়া যাইবে এবং এইগুলি মুসলমানদের মধ্যে এক একটি বোঝা মনে করা হইবে।
* কলিজার রক্ত খাইয়া অত্যন্ত দুঃখের সহিত তোমাকে নসীহত করিতেছি যে, আল্লাহর ওয়াস্তে সেই ইংরেজী বেশ-ভূষা এবং চাল-চলন পরিত্যাগ কর।
* আল্লাহর ভয়াবহ কহর আসিবে; যাহা এই জাতীয় অপরাধের শাস্তি হিসাবে খুবই ন্যায় হইবে। অর্থাৎ, আল্লাহ্‌ পাক কতলের হুকুম দিবেন।
* সশস্ত্র বিধর্মীদের হাতে মুসলমান মারা যাইবে, পালাইবে এবং অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হইবে।
* মুসলমানদের স্থায়ী সম্পত্তি এবং প্রাণ দুইটিই মূল্যহীন- সস্তা হইবে; এবং তাহাদের রক্ত সমুদ্রের ন্যায় বহিবে।
* পাঞ্জাবের মধ্যস্থল হইতে দোযখী বাহির হইয়া যাইবে এবং তাহাদের বিষয় সম্পত্তি মুসলমানগণ অধিকার করিয়া লইবে।
* ঠিক ইহার বিপরীত ঘটনা মুসলমানদের শহরে ঘটিবে। অর্থাৎ, বিধর্মীগণ মুসলমানদের শহর জবর-দখল করিবে।
* মুসলমানদের সর্বাপেক্ষা বড় শহর বধ্যভূমিতে পরিণত হইবে। প্রত্যেক ঘরেই কারবালা হইবে।
* তখন মুসলমানদের নেতা এমন হইবেন, যিনি গোপনে মুসলমানদের শত্রুর বন্ধু হইবেন এবং প্রতারণামূলক চুক্তির মাধ্যমে মুসলিমদিগকে সাহায্য দান করা হইবে।
* উক্ত ঘটনা দুই ঈদের (অর্থাৎ, রোযার এবং কোরবানীর ঈদের) মধ্যবর্তী সময়ে ঘটিবে এবং বিশ্ববাসী হিন্দুদিগকে তিরষ্কার করিবে।
* এরপর, এক মহররম মাসে মুসলমানদের হাতে তলোয়ার (অস্ত্র) আসিবে। তখন মুসলমানগণ আক্রমণ করিতে অগ্রসর হইবে।
* সারা ভারতে তখন গন্ডগোল সৃষ্টি হইবে এবং ওসমান নামক এক ব্যক্তি তখন জেহাদের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হইবেন।
* সঙ্গেই হাবীবুল্লাহ্‌ নামক জনৈক ব্যক্তি- যিনি আল্লাহর পক্ষ হইতে নেকবখত হইবেন, আল্লাহর সাহায্যে তলোয়ার হাতে নিয়া অগ্রসর হইবেন। (হাবীবুল্লাহ্‌ যদি সেই ব্যক্তির নাম না হয়, তবে অর্থ হইবে এই যে, এক ব্যক্তি যিনি আল্লাহর বন্ধু হইবেন। আর, আল্লাহর বন্ধু যদি উল্লিখিত ওসমানও হন, তবে বিচিত্র নহে। এখানে আরও একটি কথা উল্লেখযোগ্য এই যে, যে ব্যক্তি মায়ের পেটে গর্ভধারণ করার সময় বা ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় মোশতরী এবং যোহরা একত্রিত হয় এবং উভয় নক্ষত্র একই কক্ষ পথে থাকে, সেই ব্যক্তিকে পরিভাষায় "সাহেবে কেরান" বলা হয় এবং সেই ব্যক্তি নিশ্চয়ই বাদশাহ্‌ হয় এবং তাঁহার বাদশাহী দীর্ঘস্থায়ী হয়। কিন্তু, সেই উভয় নক্ষত্র একত্রিত হইতে কোন কোন সময় শতাব্দীকালও বিলম্ব হয়। তৈমুর সম্বন্ধে কথিত আছে যে, তিনি সাহেবে কেরান ছিলেন।
* সীমান্তের মোজাহেদগণের দ্বারা ভূমি কম্পিত হইবে। তাঁহারা স্বীয় উদ্দেশ্য সাধনের জন্য (হিন্দুস্তানে) ঢুকিয়া পড়িবে।
* পিপীলিকার ন্যায় তাঁহারা রাতারাতি (প্রথম পদক্ষেপেই) জয়লাভ করিবে এবং ইহা সুনিশ্চিত সত্য যে, আফগান জাতি জয়লাভ করিবেই।
* আফগানী, দক্ষিণী এবং ইরানী - সম্মিলিতভাবে গোটা ভারত জয় করিবে।
* ইসলামের শত্রুরা সমস্তই মারা যাইবে এবং আল্লাহ্‌ পাক স্বীয় রহমত নাযিল করিবেন।
* একজন ইসলাম বিদ্বেষী বিধর্মী যাহার নামের আদি অক্ষর গাফ (ফার্সী ভাষায়) হইবে এবং তাহার নাম ছয় অক্ষর বিশিষ্ট হইবে, আল্লাহর মেহেরবাণীতে সে আন্তরিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করিবে।
* আল্লাহর রহমতে মুসলিম জাতি আনন্দিত হইবে এবং গোটা ভারত হিন্দুদের রীতি-নীতি হইতে সম্পূর্ণ পবিত্র হইবে।
* ভারতের ন্যায় ইউরোপের ভাগ্য বিড়ম্বিত হইবে এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধিবে।
* এই যুদ্ধে ইংরেজগণ এমনভাবে ধ্বংস হইবে যে, দুনিয়ার বুকে ইতিহাসের পাতায় ব্যতিত অন্য কোথাও তাহাদের অস্তিত্ব থাকিবে না।
* গায়েব (অদৃশ্য স্থান) হইতে তাহারা শাস্তি পাইবে, অপরাধী বলিয়া অভিহিত হইবে এবং
'নাসারা' নামক কোন জাতি পুনরায় কখনও মাথাচাড়া দিবে না।
* এই বেঈমানগণ গোটা বিশ্বকে ধ্বংস করার কুপ্রচেষ্টার কারণে অবশেষে চিরকালের জন্য জাহান্নামে পৌঁছিবে। ( উপর্যুক্ত কয়েকটি কথার কারণে লর্ড কার্জনের আমলে এই পুস্তিকা বা ভবিষৎবাণী ছাপানো নিষিদ্ধ করা হইয়াছিল। )
* যেই সমস্ত গোপনীয় বিষয় আমি প্রকাশ করিলাম উহা গায়েবী সাহায্যের জন্য গায়েবী ওস্তাদের কাজ দিবে।
* যদি জয় লাভ করিতে চাও এবং অবিলম্বেই চাও, তবে আল্লাহর ওয়াস্তে আল্লাহর আদেশ- নির্দেশ মানিয়া চল।
* যখন 'কা-না যাহুক্বা' এর বৎসর আসিবে, সেই বৎসরই প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী (আঃ) আবির্ভুত হইবেন।
সাবধান নেয়ামতউল্লাহ্‌! নীরব হও, আল্লাহর গোপন তথ্য আর প্রকাশ করিও না।
অবশ্য যাহা বলা হইয়াছে উহা 'কুনতু কানযান' এর বৎসর। (হিজরী ৫৪৮ সাল)
***

0 Comments:

Post a Comment