আবু নাঈম (রহ.) তাঁর ‘দালায়েল’ পুস্তকে লিখেছেন, হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, রসূল (স.) প্রায়শঃ কাবাগৃহ প্রাঙ্গনে উচ্চস্বরে কোরআন পাঠ করতেন। মক্কার মুশরিকেরা তাঁর এ কাজকে খুবই মন্দ মনে করতো। একবার তারা ঠিক করলো- রসূল (স.) যখন এভাবে কোরআন পাঠ করতে শুরু করবেন,
তখন তারা একযোগে তাঁকে আক্রমণ করবে। একদিন তারা আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করলো। কিন্তু, বিস্মিত হয়ে দেখলো, তাদের প্রত্যেকের হাত আটকে রয়েছে তাদের কন্ঠদেশের সঙ্গে। আর, দৃষ্টিশক্তিও হয়েছে অচল। দিক ঠাহর করতে পারছিলো না তারা। বাধ্য হয়ে তারা রসূল (স.) এর উদ্দেশ্যে সাহায্য প্রার্থনা করলো। দোহাই পাড়লো আত্মীয়তার। বলা বাহুল্য, তারা সকলেই ছিলো রসূল (স.) এর নিকটজন। দয়াল রসূল (স.) তাদের এই দূরবস্থা দেখে ব্যথিত হলেন। দোয়া করলেন তাদের বিপদমুক্তির জন্য। তারা রেহাই পেয়ে গেলো। কিন্তু, ঈমান আনলো না একজনও। - এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই অবতীর্ণ হয়েছিল সূরা ইয়াসীনের শুরু থেকে সপ্তম আয়াত পর্যন্ত।
-তাফসীরে মাযহারী। (৯ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৬৮৯-৬৯০)***তখন তারা একযোগে তাঁকে আক্রমণ করবে। একদিন তারা আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করলো। কিন্তু, বিস্মিত হয়ে দেখলো, তাদের প্রত্যেকের হাত আটকে রয়েছে তাদের কন্ঠদেশের সঙ্গে। আর, দৃষ্টিশক্তিও হয়েছে অচল। দিক ঠাহর করতে পারছিলো না তারা। বাধ্য হয়ে তারা রসূল (স.) এর উদ্দেশ্যে সাহায্য প্রার্থনা করলো। দোহাই পাড়লো আত্মীয়তার। বলা বাহুল্য, তারা সকলেই ছিলো রসূল (স.) এর নিকটজন। দয়াল রসূল (স.) তাদের এই দূরবস্থা দেখে ব্যথিত হলেন। দোয়া করলেন তাদের বিপদমুক্তির জন্য। তারা রেহাই পেয়ে গেলো। কিন্তু, ঈমান আনলো না একজনও। - এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই অবতীর্ণ হয়েছিল সূরা ইয়াসীনের শুরু থেকে সপ্তম আয়াত পর্যন্ত।
0 Comments:
Post a Comment