***"বিসমিল্লাহি র রাহমানির রাহীম"***
সকল প্রশংসা আল্লাহ্র, যিনি সারা জাহানকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল নিয়মে পরিচালনা করছেন। আসমান ও যমীনের সকল স্তর যিনি সৃষ্টি করেছেন। জলধর মেঘমালা হতে যিনি প্রচুর বৃষ্টিপাত করেন।
খাদ্য-খাবার, অন্নদানা ও শস্যসমৃদ্ধ বিপুল প্রান্তর যিনি সৃজন করেছেন। প্রত্যেকের প্রাপ্য রিযিক ও সম্ভোগ্য সম্পদ যিনি সুনির্ধারিত করে দিয়েছেন। নেক আমল ও সনিষ্ঠ ইবাদতের প্রতিদানে যিনি সওয়াব ও পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন।
দরূদ ও সালাম আমাদের মহান পথ-প্রদর্শক মাহ্বুব ও মুর্শিদ, অত্যুজ্জ্বল মু’জিযাত ও দেদীপ্যমান নিদর্শনাদির অধিকারী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি, যাঁর নূর ও কল্যাণের তোফায়েলে সমগ্র জগত অস্তিত্ব লাভ করেছে।
হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
'আল্লাহ্ তা’আলা একজন ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন, যার বিরাটকায় দেহের এক বাহু দুনিয়ার পূর্ব প্রান্তে এবং অপর বাহু দুনিয়ার পশ্চিম প্রান্তে। মাথা আরশের সন্নিকটে এবং পদদ্বয় যমীনের সপ্তম তবককেও অতিক্রম করেছে। তাকে সমগ্র জগতে বিস্তৃত সৃষ্টির সমপরিমাণ পর-পাখা দেওয়া হয়েছে। আমার উম্মতের মধ্যে কোন পুরুষ বা নারী যখন আমার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করে, তখন আল্লাহ তা’আলা সেই ফেরেশতাকে এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন যে, সে যেন আরশের নীচে অবস্থিত ‘নূরের সাগরে’ ডুব দেয়। আল্লাহ্ তা’আলার নির্দেশ অনুযায়ী সে দরিয়াতে নিমজ্জিত হয়ে বাহির হয় এবং সর্ব শরীর ঝাড়া দেয়। ফলে, তার অসংখ্য পাখা হতে অগণিত পানি-বিন্দু ঝরে পড়ে। তখন আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর কুদরতের দ্বারা ফেরেশতার গা থেকে ঝরে পড়া প্রতিটি বিন্দু হতে এক একজন ফেরেশতা সৃষ্টি করেন।
এই অসংখ্য-অগণিত ফেরেশতা দরূদ পাঠকারী ব্যক্তির জন্য ক্কিয়ামত পর্যন্ত গুনাহ্-মাফীর দো’আ করতে থাকে।'
-মুকাশাফাতুল ক্কুলুব। [ইমাম গায্যালী (রহঃ)] [খন্ড ১, পৃষ্ঠা ১৩-১৪]
***
সকল প্রশংসা আল্লাহ্র, যিনি সারা জাহানকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল নিয়মে পরিচালনা করছেন। আসমান ও যমীনের সকল স্তর যিনি সৃষ্টি করেছেন। জলধর মেঘমালা হতে যিনি প্রচুর বৃষ্টিপাত করেন।
খাদ্য-খাবার, অন্নদানা ও শস্যসমৃদ্ধ বিপুল প্রান্তর যিনি সৃজন করেছেন। প্রত্যেকের প্রাপ্য রিযিক ও সম্ভোগ্য সম্পদ যিনি সুনির্ধারিত করে দিয়েছেন। নেক আমল ও সনিষ্ঠ ইবাদতের প্রতিদানে যিনি সওয়াব ও পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন।
দরূদ ও সালাম আমাদের মহান পথ-প্রদর্শক মাহ্বুব ও মুর্শিদ, অত্যুজ্জ্বল মু’জিযাত ও দেদীপ্যমান নিদর্শনাদির অধিকারী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি, যাঁর নূর ও কল্যাণের তোফায়েলে সমগ্র জগত অস্তিত্ব লাভ করেছে।
হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
'আল্লাহ্ তা’আলা একজন ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন, যার বিরাটকায় দেহের এক বাহু দুনিয়ার পূর্ব প্রান্তে এবং অপর বাহু দুনিয়ার পশ্চিম প্রান্তে। মাথা আরশের সন্নিকটে এবং পদদ্বয় যমীনের সপ্তম তবককেও অতিক্রম করেছে। তাকে সমগ্র জগতে বিস্তৃত সৃষ্টির সমপরিমাণ পর-পাখা দেওয়া হয়েছে। আমার উম্মতের মধ্যে কোন পুরুষ বা নারী যখন আমার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করে, তখন আল্লাহ তা’আলা সেই ফেরেশতাকে এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন যে, সে যেন আরশের নীচে অবস্থিত ‘নূরের সাগরে’ ডুব দেয়। আল্লাহ্ তা’আলার নির্দেশ অনুযায়ী সে দরিয়াতে নিমজ্জিত হয়ে বাহির হয় এবং সর্ব শরীর ঝাড়া দেয়। ফলে, তার অসংখ্য পাখা হতে অগণিত পানি-বিন্দু ঝরে পড়ে। তখন আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর কুদরতের দ্বারা ফেরেশতার গা থেকে ঝরে পড়া প্রতিটি বিন্দু হতে এক একজন ফেরেশতা সৃষ্টি করেন।
এই অসংখ্য-অগণিত ফেরেশতা দরূদ পাঠকারী ব্যক্তির জন্য ক্কিয়ামত পর্যন্ত গুনাহ্-মাফীর দো’আ করতে থাকে।'
-মুকাশাফাতুল ক্কুলুব। [ইমাম গায্যালী (রহঃ)] [খন্ড ১, পৃষ্ঠা ১৩-১৪]
***
0 Comments:
Post a Comment