জালালাবাদে একবার হুযুর পাক (সাঃ) এর কথিত জুব্বা মোবারক এর প্রদর্শনী হচ্ছিল।
সেখানে কোরআন শরীফের এমন একটি কপিও প্রদর্শিত হচ্ছিল যা হযরত আলী (রাঃ) -এর স্বহস্তে লিখা বলে কথিত ছিল।
দর্শনপ্রার্থীদের অনেক ভীড় ছিল সেখানে। সবাই বড় আগ্রহ এবং মহব্বতের সাথে জুব্বা মোবারক দেখছিল। কারণ সেটা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
কিন্তু, একজন শিয়া লোককে ব্যতিক্রম দেখা গেল। তিনি জুব্বা মুবারকের প্রতি আগ্রহী না হয়ে সেই কোরআন শরীফের এত আগ্রহী হয়ে উঠলেন যে, চুমা-চাটা শুরু করে দিলেন। জুব্বার প্রতি ভ্রুক্ষেপও করলেন না।
এক সুন্নী ভদ্রলোক তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনি এই কোরআন শরীফের দিকে খুব মনোযোগী হয়ে পড়েছেন দেখছি!"
শিয়া সাহেব বললেন, "এই কোরআন শরীফ আমীরুল মু'মেনীন হযরত আলী আলাইহিস্ সালামের পবিত্র হাতের লিখা যে, তাই।"
সুন্নী সাহেব বললেন, "আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, এটা আমীরুল মু'মেনীন হযরত আলী (রাঃ) -এর নিজ হাতের লিখা?"
শিয়া সাহেব বললেন, "এতে কোন সন্দেহ নেই।"
তখন সেখানে অনেক লোকের সমাবেশ ঘটেছিল। শিয়া সাহেব সবার সামনে কয়েকবার স্বীকার করলেন যে, সেই কোরআন শরীফটি হযরত আলী (রাঃ) -এর নিজ হাতের লিখা।
সুন্নী সাহেব সমাবেশকে লক্ষ্য করে বললেন, "তাহলে আজ শিয়া এবং সুন্নী মতবাদের ফয়সালা হয়ে যাক, হকের উপর কা'রা আছে। এই কোরআন যখন হযরত আলী (রাঃ) এর নিজ হাতে লিখা, তখন দেখে নিন এটা সুন্নীদের কোরআনের মতো, না শিয়াদের কোরআনের মতো। কারণ, তোমরা বলছো- কোরআন চল্লিশ পারা নাজিল হয়েছিল, সুন্নীরা দশ পারা গোপন করেছে। সেই দশ পারা হযরত আলী (রাঃ) এর কোরআনের সাথে অবশ্যই মিলে যাবে!'
কিন্তু, এই কথা শুনে দুই কোরআনকে মিলিয়ে দেখার আগেই শিয়া ভদ্র লোকের মুখ শুকিয়ে গেল, তার খাঁচার পাখি উড়ে গেল, বুক দুরু দুরু করে কাঁপতে লাগলো। কারণ, আলী (রাঃ) এর নিজ হাতে লিখা কোরআনেও তারা চল্লিশ পারা দেখাতে পারবে না। অতিরিক্ত অংশ তারা নিজেরাই রচনা করে নিয়েছে। পবিত্র কোরআনকে না মানার একটা বাহানা মাত্র এটা।
- আল ইফাযাতুল ইয়াওমিয়্যাহ্। (খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩৪)
সেখানে কোরআন শরীফের এমন একটি কপিও প্রদর্শিত হচ্ছিল যা হযরত আলী (রাঃ) -এর স্বহস্তে লিখা বলে কথিত ছিল।
দর্শনপ্রার্থীদের অনেক ভীড় ছিল সেখানে। সবাই বড় আগ্রহ এবং মহব্বতের সাথে জুব্বা মোবারক দেখছিল। কারণ সেটা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
কিন্তু, একজন শিয়া লোককে ব্যতিক্রম দেখা গেল। তিনি জুব্বা মুবারকের প্রতি আগ্রহী না হয়ে সেই কোরআন শরীফের এত আগ্রহী হয়ে উঠলেন যে, চুমা-চাটা শুরু করে দিলেন। জুব্বার প্রতি ভ্রুক্ষেপও করলেন না।
এক সুন্নী ভদ্রলোক তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনি এই কোরআন শরীফের দিকে খুব মনোযোগী হয়ে পড়েছেন দেখছি!"
শিয়া সাহেব বললেন, "এই কোরআন শরীফ আমীরুল মু'মেনীন হযরত আলী আলাইহিস্ সালামের পবিত্র হাতের লিখা যে, তাই।"
সুন্নী সাহেব বললেন, "আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, এটা আমীরুল মু'মেনীন হযরত আলী (রাঃ) -এর নিজ হাতের লিখা?"
শিয়া সাহেব বললেন, "এতে কোন সন্দেহ নেই।"
তখন সেখানে অনেক লোকের সমাবেশ ঘটেছিল। শিয়া সাহেব সবার সামনে কয়েকবার স্বীকার করলেন যে, সেই কোরআন শরীফটি হযরত আলী (রাঃ) -এর নিজ হাতের লিখা।
সুন্নী সাহেব সমাবেশকে লক্ষ্য করে বললেন, "তাহলে আজ শিয়া এবং সুন্নী মতবাদের ফয়সালা হয়ে যাক, হকের উপর কা'রা আছে। এই কোরআন যখন হযরত আলী (রাঃ) এর নিজ হাতে লিখা, তখন দেখে নিন এটা সুন্নীদের কোরআনের মতো, না শিয়াদের কোরআনের মতো। কারণ, তোমরা বলছো- কোরআন চল্লিশ পারা নাজিল হয়েছিল, সুন্নীরা দশ পারা গোপন করেছে। সেই দশ পারা হযরত আলী (রাঃ) এর কোরআনের সাথে অবশ্যই মিলে যাবে!'
কিন্তু, এই কথা শুনে দুই কোরআনকে মিলিয়ে দেখার আগেই শিয়া ভদ্র লোকের মুখ শুকিয়ে গেল, তার খাঁচার পাখি উড়ে গেল, বুক দুরু দুরু করে কাঁপতে লাগলো। কারণ, আলী (রাঃ) এর নিজ হাতে লিখা কোরআনেও তারা চল্লিশ পারা দেখাতে পারবে না। অতিরিক্ত অংশ তারা নিজেরাই রচনা করে নিয়েছে। পবিত্র কোরআনকে না মানার একটা বাহানা মাত্র এটা।
- আল ইফাযাতুল ইয়াওমিয়্যাহ্। (খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩৪)
0 Comments:
Post a Comment